গোলরক্ষক বরাবর শট নেওয়ার ব্যাখ্যাও দিলেন ম্যানচেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার।
Published : 21 Apr 2024, 09:13 PM
তিন দিনের মধ্যে মুদ্রার দুই পিঠই দেখা হয়ে গেল বের্নার্দো সিলভার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে টাইব্রেকারে গোল মিস করে হয়েছিলেন খলনায়ক, সেই তিনিই এফএ কাপের সেমি-ফাইনালে চেলসির বিপক্ষে হলেন দলের নায়ক। ম্যানচেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার বললেন, মাঝের সময়টা খুবই কঠিন ছিল তার জন্য।
ঘরের মাঠে গত বুধবার শেষ আটের ফিরতি লেগে রেয়ালের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেয় গতবারের চ্যাম্পিয়ন সিটি।
পেনাল্টি শুটআউটে হুলিয়ান আলভারেস সিটিকে এগিয়ে নেওয়ার পর লুকা মদ্রিচের শট ঠেকিয়ে দেন এদেরসন। দ্বিতীয় শটে সিলভার সামনে সুযোগ ছিল দলকে আরও এগিয়ে নেওয়ার। কিন্তু গোলরক্ষক বরাবর অতি দুর্বল শট নেন পর্তুগিজ ফুটবলার, জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকেই তা ঠেকিয়ে দেন আন্দ্রি লুনিন। পরে মাতেও কোভাচিচের শটও ঠেকিয়ে রেয়ালের জয়ের নায়ক হয়ে যান ইউক্রেইনের এই গোলরক্ষক।
ওই হতাশা পেছনে ফেলে শনিবার ঘুরে দাঁড়ান সিলভা। ওয়েম্বলিতে এফএ কাপের সেমি-ফাইনালে তার একমাত্র গোলেই চেলসিকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় সিটি। সিলভা জানালেন, রেয়ালের বিপক্ষে পেনাল্টি মিসের পর রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেননি তিনি।
"আমার জন্য হতাশাজনক রাত ছিল (বুধবার)। ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য এবং পুরো দলের জন্য হতাশাজনক সপ্তাহ ছিল, কারণ আমরা আরেকটি ঐতিহাসিক মৌসুম কাটাতে চেয়েছিলাম। এখনও তা হতে পারে, তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়াটা ছিল বড় হতাশার।”
"প্রথম রাতে আমি তেমন ঘুমাইনি, দ্বিতীয় রাতে একটু ঘুমাতে পেরেছি, তৃতীয় রাতে বেশি ঘুমাতে পারি, পরিস্থিতি ছিল এমনই।”
টাইব্রেকারে শট নেওয়ার আগে মনের মধ্যে কী ভাবনা কাজ করছিল, সেটিও তুলে ধরলেন সিলভা।
"আমার সামনে দুটি বিকল্প ছিল: যে কোনো একদিকে কিংবা মাঝে শট করা। আমি অপেক্ষা করছিলাম, দলের দ্বিতীয় বা তৃতীয় শট নিতে চেয়েছিলাম, প্রথমটি বা প্রথম দুটিতে গোলকিপারের প্রতিক্রিয়া দেখতে চেয়েছিলাম।”
“সে (লুনিন) আগে সরে গিয়েছিল, সেই কারণে আমি ভেবেছিলাম মাঝখানে শট নিলে ভালো হবে, কারণ চাপের মুহূর্তে গোলকিপাররা ৯৯ শতাংশ সময় সরে যায়, কিন্তু সে সরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।”
রেয়ালের বিপক্ষে হতাশাজনক রাতের পরও চেলসির বিপক্ষে সিলভাকে শুরুর একাদশে রাখেন কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা। সিদ্ধান্তটা দারুণ কাজেও লেগে যায়। ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে কেভিন ডে ব্রুইনের ক্রস থেকে গোল করে ব্যবধান গড়ে দেন ২৯ বছর বয়সী ফুটবলার।
কঠিন সময়ে সতীর্থদের পাশে পাওয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন সিলভা। ফের ট্রেবল জয়ের আশা শেষ হয়ে গেলেও বাকি দুটি প্রতিযোগিতায় শিরোপা জিততে নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার প্রত্যয়ও শোনা গেল তার কণ্ঠে।
"যখন কেউ (এমন সুযোগ) হারায় এবং তারপর যেভাবে আমরা একে অপরকে সমর্থন করি, সত্যিই দলটা পরিবারের মতো। এই সপ্তাহে ছেলেরা অবিশ্বাস্যভাবে আমার পাশে ছিল। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। এখন আমাদের সামনে এফএ কাপ ও প্রিমিয়ার লিগ আছে, এই দুই শিরোপা জিততে আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।”