প্রায় দশ মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলতে নামা নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
Published : 12 Jul 2023, 05:15 PM
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে ১৩ জুলাই ২০২৩। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে হারানোর পর কেটে গেছে প্রায় ১০টি মাস। এত লম্বা বিরতি দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলের আঙিনায় পা পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েদের! তবে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ফেলে আসা সময় নিয়ে কিছু বলতে চাইলেন না। আপাতত তিনি মনোনিবেশ করতে চান নেপালের বিপক্ষে আসছে দুই প্রীতি ম্যাচে।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার প্রথম প্রীতি ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। গত বছর সেপ্টেম্বরে নেপালকে হারিয়েই মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো লাল-সবুজের বিজয় কেতন উড়িয়েছিলেন সাবিনা-মারিয়ারা।
সেবার লড়াইয়ের মঞ্চ ছিল কাঠমাণ্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়াম। এবার দ্বৈরথ কমলাপুরের টার্ফে। নেপাল যে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া থাকবে, তা ভালোভাবেই টের পাচ্ছেন সাবিনা। তবে অনেক ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া দল নিয়েও এই তারকা ফরোয়ার্ড সাফল্যের ধারা ধরে রাখতে আশাবাদী। অনেক সাফল্যের কারিগর গোলাম রব্বানী ছোটনের না থাকা, সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটুর হাল ধরা, এসব নিয়ে পড়ে থাকতে চান না।
“যেহেতু ৮-৯ মাস পর (আসলে প্রায় দশ মাস পর) মাঠে নামছি, নতুন করে আসলে কিছু বলার নাই। আপনাদের সকলের দোয়া চাই, যেন দুইটা ম্যাচ ভালোভাবে শেষ করতে পারি। প্রথমত একটা বিষয় হচ্ছে, বাস্তবতা মানতে হবে এবং একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের এটা মেনে নিতেই হবে যে, আজকে লিটু স্যার, কাল অন্য কেউ থাকতে পারে। ছোটন স্যারের সাথে আমাদের একটা পারিবারিক বন্ধন ছিল, মেয়েদের প্রতি তিনি ভীষণ যত্নবান ছিলেন, অবশ্যই স্যারকে মিস করব।”
“বর্তমান যে পরিস্থিতি, সেটাও খুব খারাপ নয়। লিটু স্যারও দীর্ঘদিন মেয়েদের সাথে আছেন। আমার শুরুটা দুজনের সাথেই। তবে আমার মনে হয়, পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে মেয়েরা এটা মেনে নিবে এবং তাদের মেনে নিতেই হবে। আমাদের জন্য একটু কঠিন হবে, তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন খেলোয়াড়ও দলে নেই, কিন্তু মাঠে নামব দেশের সম্মান রক্ষার জন্য। নেপাল যেহেতু সাফে আমাদের কাছে হেরেছে, তাদের বড় লক্ষ্য আছে, আমাদেরকে আমাদের মাঠে হারাবে, ওদের জন্য চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ, যেহেতু আমরা জিতে এসেছি, সেটা এখানেও ধরে রাখার চেষ্টা করব।”
সাফের সাফল্যের পর কোনো ম্যাচ খেলতে না পারা নিয়ে এর আগে ক্ষোভ আড়াল করেননি সাবিনা। তবে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে বেশি বললেন না। শুধু বললেন, “এটা সত্য যে ট্রেনিংয়ের মধ্যে থাকা আর ম্যাচ খেলার মধ্যে অনেক ফারাক।” প্রস্তাবিত উইমেন’স সুপার লিগ ঝুলে থাকা নিয়েও কথা বলতে রাজি হননি তিনি। তবে দীর্ঘ বিরতির পর ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে যেন শ্বাস নিতে পারছে মেয়েরা। তা ফুটে উঠল মাঝমাঠের তারকা মারিয়া মান্দার কথায়।
“অনেক দিন পর আমরা দুইটা ম্যাচ পেয়েছি, সাফের পর খেলার সুযোগ পাইনি। আমরা চেষ্টা করব ভালো খেলা উপহার দেওয়ার। আপনাদের মাধ্যমে দর্শকদের বলতে চাই, আপনারা মাঠে আসবেন।”