ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম [ম্যাচের প্রতিপক্ষ স্পেনকে হারাতে হলে শতভাগ নিংড়ে দিতে হবে, বললেন এই ক্রোয়াট মিডফিল্ডার।
Published : 15 Jun 2024, 08:11 AM
ক্লাব ফুটবলে সাফল্যের কমতি নেই লুকা মদ্রিচের; কিন্তু আন্তর্জাতিক ফুটবলের আঙিনায় অনেকগুলো বছর কাটিয়ে ফেললেও শিরোপার স্বাদ পাননি আজও। অনির্বচনীয় সেই সাদ এবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পেতে মুখিয়ে আছেন ক্রোয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডার।
২০০৬ সালে ক্রোয়েশিয়ার জার্সিতে অভিষেকের পর বড় শিরোপার সবচেয়ে কাছাকাছি মদ্রিচ এসেছিলেন দুইবার। ২০১৮ বিশ্বকাপ ও ২০২২-২৩ মৌসুমের নেশন্স লিগের ফাইনালে। বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে আর নেশন্স লিগে স্পেনের বিপক্ষে হেরে হয়েছিল স্বপ্নভঙ্গ।
স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই শনিবার ইউরো অভিযান শুরু করবে ক্রোয়েশিয়া। ‘বি’ গ্রুপে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালি ও আলবেনিয়া।
ইউরোপ সেরা আসরে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো স্পেনের মুখোমুখি হচ্ছে ক্রোয়েশিয়া। তাছাড়া, ক্লাব ক্যারিয়ারে এখনও স্পেনের দল রেয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে খেলে চলেছেন মদ্রিচ। সব মিলিয়ে স্পেন সম্পর্কে ক্রোয়েশিয়া ও মদ্রিচের জানাশোনা কম নয়। তবে বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এই মিডফিল্ডার বললেন, স্পেনকে হারাতে হলে মাথায় রাখতে হবে অনেক কিছু।
“কয়েকবার তাদের (স্পেনের) বিপক্ষে খেলেছি আমরা। তাই, তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানি, যেগুলো নির্ণায়ক হয়ে উঠবে। প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের সেরা পর্যায়ে থাকতে হবে এবং বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখতে হবে। এ ধরনের বড় ম্যাচগুলো খেলতে আমরা কখনই ক্লান্ত হই না।”
বয়স নিয়েও ইদানিং প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মদ্রিচকে। ক্রোয়েশিয়ার জার্সিতে আজও কিছু জিততে না পারা ৩৮ বছর বয়সী মিডফিল্ডার অবশ্য ভবিষ্যৎ নিয়ে এদিনও দিলেন না কোনো পরিষ্কার ইঙ্গিত।
“সবসময় আমি বলি, কেউ যদি আমাকে এক টুকরো কাগজ দিয়ে বলে যে, ক্যারিয়ারে তুমি কী অর্জন করতে চাও, লেখো..আমার লিখতে ভয় লাগবে। মানে, আমি চাই না, এসব ঘটুক। কিন্তু অনেকগুলো বছর কাটিয়ে আমি এখনও এখানে এবং আমি এখানে থাকতে পেরে খুশি।”
২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার যাত্রা থেমেছিল সেমি-ফাইনালে। তৃতীয় হয়ে আসর শেষ করেছিল জ্লাতকো দালিচের দল। ইউরোতেও ক্রোয়াটদের ডাগআউটে থাকবেন তিনি। নিজেদের কৌশলে একটু বদল আনা স্পেনকে নিয়ে ভীষণ সতর্ক দালিচ।
“প্রথমত তারা পজেশন ধরে রেখে এবং তিকি-তাকা কৌশলে খেলত; খেলার এই ধরনে তারা জোর দিত, প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করে দিত, নিঃশেষ করে দিত।”
“এখন তারা একটু বদলেছে; তাদের দলে সেন্টার ফরোয়ার্ড আছে, আলভারো মোরাতা আছে, দুই উইংয়ে গতিময় খেলোয়াড়ও আছে, অর্থাৎ তারা আরও সোজাসুজি আক্রমণে ওঠে, গতিময় ফুটবল খেলে।”