জার্মান ফুটবল
ভলফসবুর্কের বিপক্ষে শেষ দিকের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরে খুব খুশি বায়ার্নের নতুন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি।
Published : 26 Aug 2024, 04:27 PM
ভালো শুরুর পর হুট করে ছন্দপতন। চোখ রাঙাচ্ছিল হারের শঙ্কাও। তবে পরে ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায় বায়ার্ন মিউনিখ। পয়েন্ট হারানোর দুয়ার থেকে ফিরে দলের দুর্দান্ত জয়ে উচ্ছ্বসিত কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি। জার্মান ক্লাবটির হার না মানা মানসিকতায় মুগ্ধ তিনি।
ভলফসবুর্কের মাঠে রোববার ৩-২ গোলের জয় দিয়ে বুন্ডেসলিগা শুরু করে বায়ার্ন। এই ম্যাচ দিয়ে কোচ হিসেবে ক্লাবটিতে পথচলা শুরু হলো কোম্পানির। টমাস টুখেলের কোচিংয়ে গত মৌসুম ট্রফিশূন্য কাটানোর পর তার জায়গায় কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয় বায়ার্ন।
ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য আধিপত্য ছিল বায়ার্নেরই। ১৯তম মিনিটে জামাল মুসিয়ালার গোলে এগিয়েও যায় তারা। ব্যবধান ধরে রেখে শেষ করে প্রথম ভাগ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে যেন মনোযোগ হারিয়ে ফেলে বায়ার্ন। ৯ মিনিটের মধ্যে দুই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে তারা। ভলফসবুর্কের আত্মঘাতী গোলে অবশ্য ৬৫তম মিনিটে ম্যাচে ফেরে সমতা।
শেষ দিকে একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে বায়ার্ন। পেয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখাও। ৮২তম মিনিটে জালে বল পাঠিয়ে দলকে উল্লাসে ভাসান সের্গে জিনাব্রি।
ম্যাচ শেষে দলের ফুটবলারদের দৃঢ় ও হার না মানা মানসিকতার প্রশংসা করেন কোম্পানি।
“ম্যাচটি উপভোগ করেছি। কোচ হিসেবে বুন্ডেসলিগায় এটা আমার প্রথম ম্যাচ ছিল। প্রথমার্ধে আমি দাপুটে ফুটবল খেলি, ঠিক যেমনটা উচিত ছিল। তখন আমরা কোনো সুযোগ হাতছাড়া করিনি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা ভালো হয়নি, আমরা দ্রুত দুটি গোল হজম করি। শেষ দিকে আমাদের মানসিকতা ঠিক থাকায় আমরা জিততে পেরেছি।”
“ভুল হতেই পারে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে দল কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়। সেটার জন্য দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা সময় লেগেছে। টমাস মুলার ও কিংসলে কোমান যথাযথ মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামে এবং দল ছন্দ খুঁজে পায়। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে ম্যাচ জেতার অনেক সাহস পাই আমরা। ম্যাচটি নিখুঁতভাবে খেলতে পারিনি, তবে আমরা এগিয়ে যাব।”
আগামী রোববার পরের লিগ ম্যাচে ফ্রেইবুর্কের মুখোমুখি হবে বায়ার্ন।