ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
দারুণ এই জয়ে লিগ টেবিলে এক লাফে দুই ধাপ এগিয়েছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
Published : 12 Apr 2025, 07:32 PM
ম্যাচের শুরুর দিকে দুই গোল হজম করে আরেকটি অঘটনের শঙ্কা পেয়ে বসে ম্যানচেস্টার সিটি শিবিরে। তবে বিরতির আগেই গোল দুটি শোধ করে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। আর দ্বিতীয়ার্ধে ক্রিস্টাল প্যালেসকে একরকম আটকে রেখে, আরও তিনবার জালে বল পাঠিয়ে জয়ের পথে ফেরে পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ৫-২ গোলে জিতেছে শিরোপাধারীরা।
এবেরেচি এজে ও ক্রিস রিচার্ডসের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর, প্রথমার্ধেই সমতা টানেন কেভিন ডে ব্রুইনে ও ওমার মার্মাউশ। পরে একে একে সিটির বাকি তিন গোল করেন মাতেও কোভাচিচ, জেমস ম্যাকাটি ও নিকো ও’রাইলি।
লিগ টেবিলে এক লাফে দুই ধাপ এগিয়ে গেল গুয়ার্দিওলার দল। ৩২ ম্যাচে ১৬ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৫৫ পয়েন্ট চতুর্থ স্থানে আছে তারা। দুই পয়েন্ট করে কম নিয়ে চেলসি পঞ্চম ও নিউক্যাসল ইউনাইটেড ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে। অবশ্য চেলসি একটি ও নিউক্যাসল দুটি ম্যাচ কম খেলেছে।
ম্যাচের শুরুতে প্রথম আক্রমণেই সিটিকে স্তব্ধ করে দেয় প্যালেস। অষ্টম মিনিটে বক্সে সতীর্থের ডান দিক থেকে বাড়ানো বল পেয়ে প্লেসিং শটে দলকে এগিয়ে নেন ইংলিশ মিডফিল্ডার এবেরেচি এজে।
ত্রয়োদশ মিনিটে প্রতিপক্ষের আরেকটি আক্রমণ সামলে পাল্টা আক্রমণ শাণায় সিটি। সবাইকে পেছনে ফেলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান ওমার মার্মাউশ, তবে তার দুর্বল শট এগিয়ে গিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক। তারপরও সুযোগ ছিল স্বাগতিকদের সামনে; কিন্তু ফিরতি বল পেয়ে কেভিন ডে ব্রুইনের শটও প্রতিহত হয়।
শুরুর ওই গোল হজম এবং এই দুই সুবর্ণ সুযোগ হারানোর হতাশা সিটির আরও বেড়ে যায় ২১তম মিনিটে। অ্যাডাম হোয়ার্টনের কর্নারে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডার ক্রিস রিচার্ডস।
ঘুরে দাঁড়াতে এরপর টানা আক্রমণ শুরু করে সিটি। দ্রুতও ফলও পেয়ে যায় তারা। তিন মিনিটের ব্যবধানে দুবার জালে বল পাঠিয়ে সমতায় ফেরে দলটি।
৩৩তম মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে সরাসরি ফ্রি কিকে ব্যবধান কমান ডে ব্রুইনে। এরপর ডি-বক্সে সতীর্থের হেড পাস পেয়ে জোরাল শটে সমতা টানেন মার্মাউশ।
বিরতির আগে এগিয়েও যেতে পারত সিটি। তবে বক্সে দারুণ পজিশনে ফাঁকায় বল পেয়ে ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন বেলজিয়ান তারকা ডে ব্রুইনে।
দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটেই অবশ্য তৃতীয় গোলের দেখা পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডে ব্রুইনের কাটব্যাক ডি-বক্সের মুখে পেয়ে জোরাল শটে গোলটি করেন কোভাচিচ।
আত্মবিশ্বাসী সিটির আক্রমণের ঝড় চলতেই থাকে, এবং ৫৬তম মিনিটে চমৎকার এক গোলে ম্যাচের লাগাম হাতে নেয় তারা।
গোলটির পেছনে অনেক বড় অবদান গোলরক্ষক এদেরসনের। এক নজরে মাঠের অবস্থা বুঝে তিনি মাঝমাঠে জেমস ম্যাকাটিকে খুঁজে নেন। এরপর, প্রথম ছোঁয়ায় বল ধরে, দ্বিতীয় ছোঁয়ায় বক্সে ঢুকে এবং গোলরক্ষককে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে স্কোরলাইন ৪-২ করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার ম্যাকাটি।
কিছুটা সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় ৭৯তম মিনিটে আরেকটি গোল করে বড় জয়ের পথে এগিয়ে যায় সিটি। বক্সে প্রতিপক্ষের একজন হেডে বল ক্লিয়ারের চেষ্টা করলে উল্টো পেয়ে যান ও’রাইলি। তরুণ এই ইংলিশ মিডফিল্ডারের শট আরেক জনের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।
লিগে এই নিয়ে সবশেষ চার ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেল ম্যানচেস্টার সিটি, অন্য দুটি ড্র। ব্যর্থতায় ভরা মৌসুমে ঘুরে দাঁড়ানোর অভিযানে, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত রইল লিগের গত চারবারের চ্যাম্পিয়নরা।