বাফুফে
রাজশাহীতে বাফুফে একাডেমি নিবন্ধন কার্যক্রম ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
Published : 25 Apr 2025, 08:13 PM
বাফুফে একাডেমি নিবন্ধন কার্যক্রম ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে গিয়ে দেশের ফুটবলের সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বললেন তাবিথ আউয়াল। সেখানে একাডেমি নিয়ে ‘ইতিবাচক সাড়া’ পাওয়া এবং ফুটবলের ‘জোয়ার’ দেখার কথা বলেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি।
বাফুফে পরিচালত স্কিমের আওতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলা একাডেমিগুলোর মধ্যে যেগুলো মানদণ্ড পূরণ করেছে, তাদের মধ্যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় শুক্রবার। রাজশাহীতে হওয়া এই অনুষ্ঠানে তৃণমূল ফুটবলের উন্নতিতে একাডেমিগুলো থেকে প্রত্যাশিত সাড়া পাওয়ার কথা বলেন তাবিথ।
“সাড়া তো ভালো পাচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল তৃণমূল পর্যায়ের ফুটবলের উন্নতি করা। তৃণমূলে যেন সবাই ফুটবল খেলে। একাডেমির মাধ্যমে আমরা চাচ্ছি, তৃণমূলে যেন কিছু টেকনিক্যালি জ্ঞান প্রদান করা যায় ও ভালো খেলোয়াড়দের বাছাই করা।”
“জুনিয়র খেলোয়াড়দের গোছানো ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা যেন নেওয়া হয়। আমরা সেদিক থেকেও সাড়া পাচ্ছি। দেখলাম যে দেশব্যাপী অনেক একাডেমি সামনে এসেছে। তার মানে দেশজুড়ে ফুটবলের একটা জোয়ার আমরা দেখতে পাচ্ছি।”
২০২০ সালে এএফসি ও ফিফার গাইডলাইন অনুযায়ী বাফুফে টেকনিক্যাল কমিটি দেশব্যাপী একাডেমি নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করে। সে বছর ৭৮টি একাডেমিকে নিবন্ধিত করা হয়। বাফুফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পরবর্তীতে ২০২১ সালে ৪০টি, ২০২২ সালে ২৫টি, ২০২৩ সালে ৩৫টি এবং ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও ১১০টি একাডেমি নিবন্ধিত হয়। এখন পর্যন্ত মোট ২৬৮টি ‘ওয়ান স্টার’ এবং ১৭টি ‘টু স্টার’ একাডেমি বাফুফের নিবন্ধনপ্রাপ্ত হয়েছে।
বাফুফে নিবন্ধিত একাডেমিগুলোর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাফুফে একাডেমি চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩-২৪, যেখানে ২৪টি ভেন্যুতে ফিফার অর্থায়নে খেলা আয়োজন করা হয়। যেখানে অংশ নেয় ৪ হাজার ৮০০ জন ক্ষুদে ফুটবলার। টুর্নামেন্ট থেকে বাছাইকৃত ৩৫ জন প্রতিভাবান ফুটবলারকে বাফুফে এলিট একাডেমির আওতায় আনা হয়।
এছাড়াও ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৮টি বিভাগীয় পর্যায়ে বাফুফে নিবন্ধিত একাডেমি থেকে গ্রাসরুট কোচিং কোর্সে অংশগ্রহণ করে মোট ৫৫০ জন কোচ পেয়েছেন সার্টিফিকেট।