ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় লিভারপুলের বিপক্ষে এখনো কোনো জয় নেই রিয়াল মাদ্রিদের। এই খরা কাটানোর লক্ষ্য নিয়েই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে অ্যানফিল্ডে যাচ্ছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
Published : 22 Oct 2014, 10:45 AM
লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে ম্যাচটি শুরু হবে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে একটায়।
গত মৌসুমে ক্লাব ফুটবলে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় দশম শিরোপা জয়ী রিয়াল এখন পর্যন্ত লিভারপুলের বিপক্ষে ৩টি ম্যাচ খেলেছে। এর একটিতেও জিততে পারেনি ইউরোপের সবচেয়ে সফল ক্লাবটি।
প্যারিসে ১৯৮১ সালের ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে ১-০ গোলে হারে রিয়াল। এরপর একই প্রতিযোগিতায় দুই দলের সাক্ষাৎ হয় ২০০৯ সালে। শেষ ষোলোর দুই রাউন্ডেই হেরেছিল রিয়াল (৪-০ ও ১-০)।
রিয়াল মাদ্রিদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স অবশ্য বলছে, এবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা খুব কম। সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলে টানা ৭ ম্যাচ জয়ের আনন্দ নিয়ে অ্যানফিল্ডে খেলতে নামবে রিয়াল। এর মধ্যে আছে লা লিগায় টানা দুটি ম্যাচ ৫-০ গোলে জেতার সুখস্মৃতি।
তাছাড়া রিয়ালের সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো আছেন দারুণ ফর্মে। মৌসুমের শুরু থেকে একের পর এক গোল করে চলেছেন তিনি। এ পর্যন্ত লা লিগায় সাত ম্যাচ খেলে ১৫ গোল করেছেন পর্তুগিজ এই তারকা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বেও প্রথম দুই রাউন্ডে দুটি গোল আছে তার। সঙ্গে দলটির আক্রমণভাগের অন্যান্য তারকারাও আছেন ভালো অবস্থায়।
তাই এমন দুর্দান্ত রূপে ছুটে চলা রোনালদো-করিম বেনজেমাদের আটকে রিয়ালের বিপক্ষে ইউরোপ সেরার মঞ্চে অজেয় রূপটা ধরে রাখতে হয়তো রীতিমত যুদ্ধ করতে হবে লিভারপুলকে।
এদিকে, লিভারপুলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে এফসি বাসেলের মাঠে একমাত্র গোলে হেরেছে লিভারপুল। আর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সবশেষ ম্যাচে পয়েন্ট তালিকার সবচেয়ে নীচের দল কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৩-২ গোলের কষ্টার্জিত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ‘অল রেড’ নামে পরিচিত দলটিকে।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিপক্ষের তুলনায় দলের এমন নাজুক অবস্থার পরও রিয়ালের বিপক্ষে মাঠে নামার তর সইছে না লিভারপুল কোচ ব্রেন্ডন রজার্সের।
“গত ৫ থেকে ১০ বছরে রিয়াল মাদ্রিদ যেভাবে খেলে আসছে এখন সেরকমই ভালো খেলছে তারা। আমি এর (এই ম্যাচে খেলতে) জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।”
রিয়াল মাদ্রিদ কোচ আনচেলত্তি কিন্তু বেশ সতর্ক। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো আর হামেস রদ্রিগেসদের যেন তিনি মনে করিয়ে দিতে চাইলেন, কষ্ট ছাড়া সাফল্য মেলে না।
“আমরা ভালো অবস্থায় আছি। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে গোলের জন্য ত্যাগ স্বীকার, লড়াই আর মনোযোগ লাগে। ত্যাগ স্বীকার ও মনোযোগ ছাড়া আপনি গোল করতে পারবেন না। সেরা খেলোয়াড়রা এটা বোঝে।”