মারিও মানজুকিচ, টমাস মুলার আর আরিয়েন রবেনের গোলে পাওয়া এই জয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে যোগ্যতর দল হিসেবেই শিরোপা ধরে রাখার পথে আরেক ধাপ এগুলো জার্মান ক্লাবটি। প্রথম লেগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠ থেকে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে ফিরেছিল এরই মধ্যে লিগ শিরোপা জেতা বায়ার্ন।
বুধবার রাতে বায়ার্নের মাঠে প্রথমার্ধ অবশ্য অন্যরকম ইঙ্গিত দিচ্ছিল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের বাজে অবস্থার কথা ভুলে ভালো খেলে বায়ার্নকে চাপেই ফেলে দিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ডেভিড ময়েসের দল মনে করিয়ে দিচ্ছিল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় সবশেষ চারটি ম্যাচে ইংলিশ ক্লাবের বিপক্ষে জয় নেই বায়ার্নের।
ম্যাচের ১৬তম মিনিটে ইউনাইটেডের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ভ্যালেন্সিয়ার গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। প্রথমার্ধের বলার মতো ঘটনা এটাই।
ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেয়া গোলের পর এভরার উদযাপন।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনার এই ম্যাচ সব রোমাঞ্চ যেন লুকিয়ে রেখেছিল দ্বিতীয়ার্ধের জন্য। ৫৭তম মিনিটে ভ্যালেন্সিয়ার ক্রস থেকে বক্সের প্রান্তে বল পান ফরাসি ডিফেন্ডার প্যাট্রিস এভরা; জোরালো শটে ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন তিনি।
মানজুকিচের নেয়া শটটি ঠেকাতে পারলেন না ইউনাইটেড গোলরক্ষক দাভিদ দে হিয়া
বায়ার্নকে সমতায় ফেরানো গোলের পর মারিও মানজুকিচের উদযাপন।
এভরার ভুলেই মাত্র ২ মিনিটের মধ্যে সমতায় ফেরে বায়ার্ন। বাঁ প্রান্ত থেকে ফ্রাঙ্ক রিবেরির অসাধারণ পাস থেকে এভরাকে পেছনে ফেলে দারুণ এক হেডে গোলটি করেন ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলার মানজুকিচ।
মুলারের এই শটটি ঠেকাতে পারলেন না ম্যানচেস্টার গোলরক্ষক দাভিদ দে হিয়া।
গোল করে সতীর্থদের অভিনন্দন পেলেন বায়ার্নের মিডফিল্ডার টমাস মুলার।
তখনো ইউনাইটেডের সেমি-ফাইনালে যাওয়ার আশা বেঁচে ছিল। কিন্তু ৬৮ মিনিটে সমীকরণ নিজেদের দিকে নিয়ে আসেন মুলার। ডাচ ফরোয়ার্ড আরিয়েন রবেনের ক্রসে কাছ থেকে গোল করে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন জার্মানির এই ফরোয়ার্ড।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জালে বল পাঠাচ্ছেন রবেন
রবেনকে অভিনন্দন জানাতে পেছনে ছুটে আসছেন রিবেরি।
ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে রবেনের শট ডিভেন্ডার নেমানিয়া ভিদিচের পায়ে লেগে খানিকটা দিক বদলে ইউনাইটেড গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় স্বাগতিকদের।
গোল করার পর রবেনকে অভিনন্দন জানালেন পেপ গার্দিওলা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্বপ্ন কোচ ডেভিড ময়েসের
এরপর শেষ চারে উঠতে হলে দুটো গোল করতে হতো ইউনাইটেডের। কিন্তু বায়ার্নের রক্ষণ ভাঙার মতো তেমন কোনো আক্রমণ তারা করতে পারেনি।