সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই দাবি জানিয়েছেন রোকনুজ্জামান কাঞ্চন, আজমল হোসেন বিদ্যুৎ, ফিরোজ মাহমুদ টিটু, ফয়সাল মাহমুদ, পারভেজ বাবু, প্রদীপ পোদ্দার ও জহিরুল ইসলাম।
এ প্রসঙ্গে কাঞ্চন বলেন, “আমি মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের কাছে ১৫ লাখ টাকার মতো পাই। ক্লাব দিচ্ছি-দেবো করে সময় পার করছে। নিরুপায় হয়ে আমরা কঠোর হয়েছি। কারণ ফুটবলই আমাদের রুটি-রুজি।”
“আমি টানা ১২ বছর মুক্তিযোদ্ধায় খেলেছি। এই ক্লাবে আমাদের অনেক অবদান। সে সব কথা আর বলতে চাই না। আমরা শুধু চাই আমাদের পাওনা মিটিয়ে দেয়া হোক।”
কাঞ্চনদের দাবির সত্যতা স্বীকার করে মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের ব্যবস্থাপক আব্দুস সাত্তার বলেন, “বেশ কয়েক জন ফুটবলার যে টাকা পাবে, তা আমরা অস্বীকার করছি না। এখন অন্তর্বর্তী কমিটি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল চলছে। তাই পুরো অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।”
“তবে আমরা যে একেবারেই তাদের কিছু দিচ্ছি না তা কিন্তু নয়। আমরা প্রতি মাসে কিছু-কিছু করে বকেয়া বেতন দিচ্ছি।”
এই ৭ ফুটবলারের প্রশংসা করলেও তাদের বর্তমান ভূমিকায় বেদনাহত আব্দুস সাত্তার। তিনি বলেন, “ক্লাবের দুঃসময়ে তাদের সহযোগিতার কথা আমরা ভুলে যাইনি। তাদের অবদানের প্রতিদান দেয়ারও চেষ্টা করেছি। নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা। সে পরিকল্পনায় তাদের অনেকেই হয়তো নেই। তাই বলে পাওনার জন্য চরমপত্র দিতে হবে! এটা দুঃখজনক।”