পাতানো ম্যাচ, স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে জেরবার বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও (বাফুফে) তাই উদ্যোগী হয়েছে প্রতিযোগিতাটি থেকে এসবের শেকড় তুলে ফেলতে। এরই মধ্যে পাঁচটি ক্লাবের সঙ্গে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সংস্থাটির পাতানো ম্যাচ শনাক্তকরণ কমিটির চেয়ারম্যান হুমায়ুন খালিদও জানিয়েছেন, যেকোনো মূল্য এসব বন্ধ করতে চান তারা।
Published : 06 Apr 2022, 09:25 PM
প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসার সিঁড়ি চ্যাম্পিয়ন্সশিপ লিগের এবারের আসরে একাধিক ক্লাবের বিপক্ষে পাতানো ম্যাচ খেলা, স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। আজমপুর ফুটবল ক্লাব উত্তরার কোচ জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার সাইফুর রহমান মনি পদত্যাগ করেন একই অভিযোগ তুলে।
কেবল আজমপুর নয়, ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুল, গোপালগঞ্জ এসসি, কারওয়ান বাজার প্রগতি সংঘ ও ফরাশগঞ্জ এসসির বিপক্ষে উঠেছে অভিযোগ। এই পাঁচটি ক্লাবের সঙ্গে এ মাসের মাঝামাঝি বসার কথা জানিয়েছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
“সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের বেশ কয়েকটি ক্লাব, ম্যাচ ও ব্যক্তিকে নিয়ে স্পট ফিক্সিং ও পাতানো ম্যাচের অভিযোগ তুলে একাধিক সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। যা গুরুত্বসহকারে নিয়ে বাফুফের পাতানো ম্যাচ শনাক্তকরণ কমিটি আজ একটি সভা করেছে।”
“যে সব ম্যাচ, কর্মকর্তা ও ক্লাব নিয়ে অভিযোগ এসেছে, সেগুলো নিয়ে কমিটি বিস্তারিত আলোচনা করেছে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করেছে। বাফুফে বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে শনাক্ত করে ম্যাচ গড়াপেটা, স্পট ফিক্সিং রোধে যা কিছু করার তা করবে।”
পাতানো ম্যাচ শনাক্তকরণ কমিটির চেয়ারম্যান হুমায়ুন গণমাধ্যমকে জানান তাদের অনড় অবস্থানের কথা। তবে তাড়াহুড়ো করে নির্দোষ কেউ যেন শাস্তি না পায়, সে দিকেও দৃষ্টি রাখার কথা জানালেন তিনি।
“এভাবে চলতে দেয়া যায় না। যে কোনো উপায়ে এটা থামাতে হবে। নইলে ফুটবলের জন্য খুবই খারাপ সময় আসবে। পাতানোর ইস্যুটা বিভিন্ন ধরনের। কোনোটায় আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা আছে, কোনোটা ঘরোয়াভাবে। তবে বাইরে থেকে সেরকম কোনো তথ্য উপাত্ত আমরা পাইনি।”
“বিষয়গুলো খুব সতর্কভাবে আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখছি। এর জন্য যে সব লোকজনের সঙ্গে কথা বলা দরকার, সবার সঙ্গেই কথা বলা হবে। আমি চাই না কোনো তাড়াহুড়ো করতে। কারণ তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত যদি কোনো নির্দোষ ব্যক্তি বা ক্লাবের বিরুদ্ধে যায়, সেটা বড় ভুল হবে।”
আগামী ১৩ ও ১৬ এপ্রিল অভিযুক্ত ক্লাব কর্তাদের ডাকা হয়েছে সাক্ষাৎকারের জন্য। পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটির সামনে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ম্যাচের হাইলাইটস দেখিয়ে।