মার্শেইয়ের মাঠে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে একটায় শুরু হবে ম্যাচটি। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে পচেত্তিনো আসছে এই ম্যাচে লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে নেইমারের আক্রমণভাগে ফেরার কথা জানান।
“এ ম্যাচের জন্য নেইমারকে পাওয়া যাবে।”
কুঁচকির চোটের কারণে নেইমার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লাইপজিগের বিপক্ষে খেলতে পারেননি। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের অনুপস্থিতিতে নিজেদের মাঠে ম্যাচটি ৩-২ গোলে জেতে পিএসজি।
সেন্টার-ব্যাক সের্হিও রামোসও পিএসজির জার্সিতে অভিষেকের কাছাকাছি আছেন। রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে লিগ ওয়ানের দলটিতে যোগ দেওয়ার পর কাফ ইনজুরির কারণে এখনও খেলার সুযোগ পাননি তিনি। এখনও অবশ্য রামোস অনুশীলন করছেন একা। ঊরুর চোটে ভুগছেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার লেয়ান্দ্রো পারেদেস। মার্শেইয়ের বিপক্ষে তাকেও পাবেন না পচেত্তিনো।
১০ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে শীর্ষে আছে পিএসজি। এক ম্যাচ কম খেলা মার্শেই ১৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে।
মার্শেইয়ের বিপক্ষে খেলা সবশেষ ১০ ম্যাচের ৮টিতে জিতেছে পিএসজি। অন্যদিকে, নিজেদের মাঠে ১০ বছরের মধ্যে পিএসজির বিপক্ষে প্রথম জয়ের খোঁজে আছে মার্শেই।
কোচ ও খেলোয়াড়-দুই ভূমিকাতেই মার্শেইয়ের বিপক্ষে লড়েছেন পচেত্তিনো। এবারের দ্বৈরথটিও তাই এই আর্জেন্টাইন কোচের কাছে স্রেফ একটা ম্যাচ নয়; বাড়তি কিছু।
“আমি এই ‘ক্লাসিকো’ একজন খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে খেলেছি। প্রতিটিরই নিজস্ব গল্প আছে, কিন্তু এটা একটা ডার্বির মতো। এটা স্রেফ তিন পয়েন্টের ব্যাপার নয়।”
“পিএসজি বনাম অলিম্পিক মার্শেই আর সব ম্যাচের মতো নয়। এটা আমাদের এবং সমর্থকদের জন্য গর্বের, আবেগের ম্যাচ।”
নেইমারের ফেরা ছাড়াও পিএসজির জন্য স্বস্তির খবর আছে আরও। নিষেধাজ্ঞার কারণে লাইপজিগের বিপক্ষে খেলতে না পারা আর্জেন্টাইন উইঙ্গার আনহেল দি মারিয়া দলে ফিরেছেন।
দারুণ প্রাপ্তির হাতছানিতে মাঠে নামবেন এমবাপে। একবিংশ শতাব্দীতে লিগ ওয়ানে সবচেয়ে বেশি গোলদাতাদের তালিকায় জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের পাশে বসার সুযোগ আছে ২২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের সামনে।
বর্তমানে এমবাপের লিগ ওয়ানে গোল ১১২টি। তার চেয়ে একটি বেশি গোল সুইডিশ ফরোয়ার্ড ইব্রাহিমোভিচের। এ তালিকায় সবার ওপরে উরুগুয়ের ফরোয়ার্ড এদিনসন কাভানি (১৩৮টি)।