ম্যানইউকে বিদায় করে শেষ ষোলোয় লাইপজিগ

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দরকার ছিল ড্র। লাইপজিগের জয়। তিন গোল হজম করে শেষ দিকে দুটি পরিশোধ করে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল উলে গুনার সুলশারের দল, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। দারুণ এক জয় তুলে নিল লাইপজিগ। অনিশ্চয়তার মেঘ সরিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিয়েছে জার্মানির দলটি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2020, 10:06 PM
Updated : 8 Dec 2020, 10:23 PM

নিজেদের মাঠে মঙ্গলবার রাতে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-২ গোলে জিতে লাইপজিগ। এই জয়ে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথম পর্বে ৫-০ গোলে উড়িয়ে যাওয়ার ক্ষতে প্রলেপও দিয়েছে তারা।

ছয় ম্যাচে চার জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে বুন্ডেসলিগার দলটি। টানা দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া ইউনাইটেড খেলবে ইউরোপা লিগে।

দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় লাইপজিগ। মার্সেল সাবিৎজারের ক্রসে দারুণ শটে জাল খুঁজে নেন আনহেলিনো। এই গোলে অবশ্য দায় কম নয় ইউনাইটেডের দুই ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুইয়ার ও অ্যারন ওয়ান-বিসাকার। আনহেলিনোর বল পাওয়ার সময় তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টাই করেননি দুই ডিফেন্ডার।

ত্রয়োদশ মিনিটে দারুণ বোঝাপড়ায় ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় সবশেষ লিগ ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে ৩-৩ ড্র করে আসা লাইপজিগ। আমাদৌ হাইদারার বাড়ানো বল সাবিৎজার পাস দেন বাঁ দিকে থাকা আনহেলিনোকে। স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের ফিরতি ক্রস থেকে ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন হাইদারা।

২৪তম মিনিটে ইউনাইটেডের ম্যাসন গ্রিনউডের হেড উড়ে যায় ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে। প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে তেমন কোনো পরীক্ষা নিতে পারেনি তারা। বরং পাঁচ মিনিট পর ভিএআরের কল্যাণে বেঁচে যায় ইউনাইটেড।

লাইপজিগের ইব্রাহিমা কোনাতের হেড পোস্টের লেগে ফেরার পর উইলি ওরবান জাল খুঁজে নিয়েছিলেন গোলমুখ থেকে। কিন্তু ভিএআরে ওরবান অফসাইডে থাকায় গোল হয়নি।

প্রথম লেগে দুর্বার ইউনাইটেড দ্বিতীয়ার্ধেও খুঁজে ফিরেছে হারানো ছন্দ। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হ্যাটট্রিক উপহার দেওয়া মারকাস র‌্যাশফোর্ডের ৬৪তম মিনিটের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। একটু পর পথ আগলে দাঁড়ায় দুর্ভাগ্য; ব্রুনো ফের্নান্দেসের ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া ফ্রি কিক গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ক্রসবারে লেগে ফিরে।

৬৯তম মিনিটে রক্ষণের মলিনতায় আরও এক গোল হজম করে ইউনাইটেড। বাঁ দিক থেকে বাড়ানো এনকুনকুর ক্রসে গতি তেমন ছিল না। কিন্তু ডিফেন্ডারদের কেউই বল আটকাতে পারেননি। শেষ মুহূর্তে দাভিদ দি হেয়া এগিয়ে এলেও লাভ হয়নি। হঠাৎ পাওয়া সুযোগ কাজে লাগান ছোট ডি-বক্সে থাকা জাস্টিন ক্লুইভার্ট।

শেষ দিকে দুই মিনিটের মধ্যে দুই গোলে ম্যাচ জমিয়ে তোলে ইউনাইটেড। ফের্নান্দেসের ৮০তম মিনিটের স্পট কিকে ম্যাচে ফেরে দলটি। ডি-বক্সে গ্রিনউডকে ইব্রাহিমা ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। এরপর ফের্নান্দেসের কর্নার থেকে বল জালে পাঠান ম্যাগুইয়ার।

দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে গোল হজম করতে বসেছিল লাইপজিগ। পগবার ক্রস ফেরাতে গিয়ে নর্দি মুকিয়েলে করতে বসেছিলেন আত্মঘাতী গোল। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় বল গ্লাভসবন্দী করে লাইপজিগের জয় নিশ্চিত করেন গোলরক্ষক।

গ্রুপের অন্য ম্যাচ মাত্র ১৪ মিনিট খেলা হয়েই ভেস্তে যেতে বসেছে। চতুর্থ ম্যাচ অফিসিয়ালের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী মন্তব্যের অভিযোগ তুলে মাঠে ছাড়েন ইস্তানবুল বাসাকসেহিরের খেলোয়াড়রা। ম্যাচের ভাগ্যে যাই থাকুক, ইউনাইটেডের হারে শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে গেছে পিএসজির।