ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় ‘এ’ গ্রুপের ফিরতি লেগে প্রতিযোগিতার শিরোপাধারীদের বিপক্ষে ১-১ ড্র করে আতলেতিকো। প্রথম পর্বে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় আতলেতিকোকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বায়ার্ন।
পাঁচ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে আছে আতলেতিকো। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা বায়ার্ন শেষ ষেলোয় জায়গা করে নিয়েছিল আগেই।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে লোকোমোতিভ মস্কোকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে সালসবুর্ক। ৪ পয়েন্ট নিয়ে সালসবুর্ক তৃতীয় ও ৩ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে আছে লোকোমোতিভ।
নকআউট পর্বের টিকেট পেয়ে যাওয়ায় রবের্ত লেভানতোভস্কি, টমাস মুলার ও মানুয়েল নয়ারসহ নয়টি পরিবর্তন এনে আতলেতিকোর বিপক্ষে ম্যাচের একাদশ সাজান বায়ার্ন কোচ হান্স ফ্লিক।
২৬তম মিনিটে ফেলিক্সের দারুণ গোলে এগিয়ে যায় আতলেতিকো। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা মার্কোস ইয়োরেন্তের বাইলাইন থেকে কাট ব্যাকে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড নিখুঁত সুইপে জাল খুঁজে নেয়।
ব্যবধান বাড়াতে বায়ার্নের রক্ষণে চাপের ধারাবাহিকতা ধরে রাখে আতলেতিকো। কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোল মেলেনি। ৩৭তম মিনিটে ইয়ানিক কারাসকোর নিচু ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলেন ইয়োরেন্তে। কিন্তু ক্রসবারের উপর দিয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
৫৮তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে দ্বিতীয় গোল পায়নি আতলেতিকো। ইয়োরেন্তের ছোট পাস কোররেয়ার পা ঘুরে পেয়ে যান ফেলিক্স। বক্সের ভেতর থেকে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে।
নিষ্প্রাণ থাকা আক্রমণভাগে শক্তি বাড়াতে ৬২তম মিনিটে হাভি মার্তিনেসকে তুলে মুলারকে নামান বায়ার্ন কোচ। ৮৫তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ম্যাচে সমতা ফেরান মুলার। জার্মান এই ফরোয়ার্ডকেই ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল বায়ার্ন।
বাকি সময়ে আর জালের দেখা পায়নি কোনো দলই।