ড্র করলেই শেষ ষোলো, জিতলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন্স-এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার রাতে অ্যানফিল্ডে খেলতে নামা লিভারপুল ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচটি জিতেছে ১-০ গোলে। গোলটি করেন কার্টিস জোন্স।
প্রথম তিন ম্যাচে জয়ের পর গত রাউন্ডে আতালান্তার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হেরেছিল লিভারপুল। পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে তাদের পয়েন্ট হলো ১২।
দুর্ভাগ্য বাধা না হয়ে দাঁড়ালে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। ডি-বক্সে ঠিক বাইরে থেকে তরুণ মিডফিল্ডার জোন্সের জোরালো শট পোস্টের ওপরের দিকে লাগে।
প্রথমার্ধে বল দখলে আধিপত্য করা আয়াক্স প্রথম ভালো সুযোগ পায় ২১তম মিনিটে। তবে ডাভি ক্লাসেনের হেড দৃঢ়তায় রুখে দেন গোলরক্ষক কুইভিন কেলেহার। ৩২তম মিনিটে আবারও তার নৈপুণ্যে রক্ষা পায় লিভারপুল। প্রায় ২৮ গজ দূর থেকে ডাচ মিডফিল্ডার নুসায়ার মাজরাউয়ির জোরালো শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান লিভারপুলের যুব দল থেকে উঠে আসা আইরিশ গোলরক্ষক।
বিরতির আগে আবারও আয়াক্সের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় এই অর্ধে ৪০ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা লিভারপুল। তবে সাদিও মানের ছোট পাস পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে পাশের জালে মারেন ইংলিশ ডিফেন্ডার অ্যান্ড্রু রবার্টসন।
এর তিন মিনিট পর ১৯ বছর বয়সী দুই খেলোয়াড়ের বোঝাপড়ায় এগিয়ে যায় লিভারপুল। ডান দিক থেকে নেকো উইলিয়ামসের ক্রসে দূরের পোস্টের পাশে থেকে টোকায় বল ফাঁকা জালে পাঠান জোন্স। গোলটির পেছনে যথেষ্ট দায় ছিল আয়াক্স গোলরক্ষকের; বলের গতি-প্রকৃতি বুঝতে না পেরে গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
দুই মিনিটের ব্যবধানে ম্যাচ শেষ করে দেওয়ার দারুণ দুটি সুযোগ পেয়েও হারান রবের্তো ফিরমিনো ও মোহামেদ সালাহ। দুজনই গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন, দুজনের প্রচেষ্টায় রুখে দেন আন্ড্রে ওনানা।
নির্ধারিত সময় শেষের দুই মিনিটে আগে সমতা টানার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল আয়াক্স। তবে ক্লাস-ইয়ান হুন্টেলারের হেড দারুণ নৈপুণ্যে কেলেহার রুখে দিলে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়ে ২০১৮-১৯ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
দ্বিতীয় হারের স্বাদ পাওয়া আয়াক্স ৭ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে নেমে গেছে।
অন্য ম্যাচে আতালান্তাকে তাদেরই মাঠে রুখে দিয়েছে মিতউইলান। ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে ইতালির ক্লাব আতালান্তা। ডেনমার্কের ক্লাবটির পয়েন্ট ১।