শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে হার এড়ালো রিয়াল

বড় হার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন মৌসুম শুরু করা রিয়াল মাদ্রিদ আরেকটি বিব্রতকর হারের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল। জোড়া গোল করে প্রথমার্ধে ক্লাব ব্রুজকে ২-০ গোলে এগিয়ে নেন ইমানুয়েল বোনাভেনচুরা। কোণঠাসা হয়ে পড়া দলকে ম্যাচে ফেরান সের্হিও রামোস। শেষ দিকে কাসেমিরোর হেডে ড্রয়ের স্বস্তিতে মাঠ ছাড়ে ইউরোপের সফলতম দলটি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2019, 06:51 PM
Updated : 1 Oct 2019, 09:51 PM

সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘এ’ গ্রুপে জিনেদিন জিদানের শিষ্যদের ২-২ গোলে রুখে দিয়েছে বেলজিয়ামের দলটি।

গ্রুপ পর্বের দুই রাউন্ড শেষে জয়শূন্য রইলো মাদ্রিদের ক্লাবটি। প্রথম ম্যাচে পিএসজির মাঠে ৩-০ গোলে হেরেছিল তারা।

আক্রমণাত্মক শুরু করা রিয়ালের প্রথম দিকের খেলায় ছন্দের ঘাটতি ছিল। এর মাঝেই গোল খেয়ে বসে তারা। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি ইমানুয়েল। বল তার অন্য পায়ে লেগে গড়াতে গড়াতে গোললাইন পেরিয়ে যায়। আগেই পড়ে যাওয়া থিবো কোর্তোয়া কিছুই করতে পারেননি।

পিছিয়ে পড়ে চাপ বাড়ায় স্বাগতিকরা। সাত মিনিটের ব্যবধানে ভালো দুটি সুযোগও তৈরি করে; কিন্তু সাফল্য মেলেনি। ২১তম মিনিটে দানি কারভাহালের পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে লুকা মদ্রিচের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। হেডে রাফায়েল ভারানের প্রচেষ্টা ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক।

৩৪তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে কোর্তোয়ার পরীক্ষা নেয় অতিথিরা। সে যাত্রায় দক্ষিণ আফ্রিকার ফরোয়ার্ড পার্সি টাউয়ের শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় রুখে দলকে বাঁচান বেলজিয়ান গোলরক্ষক।

পাঁচ মিনিট পর আরেকটি পাল্টা আক্রমণে দলকে দ্বিগুণ ব্যবধান পিছিয়ে পড়া থেকে বাঁচাতে পারেননি কোর্তোয়া। মদ্রিচের ভুলে বল পেয়ে দ্রুত এগিয়ে ডি-বক্সে ঢোকার মুখে হোঁচট খান এমানুয়েল। ভারসাম্য সামলে বল নিয়ন্ত্রণে রেখে ঠাণ্ডা মাথায় চিপ শটে আগুয়ান গোলরক্ষকের উপর দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ২১ বছর বয়সী তরুণ এই স্ট্রাইকার।   

এই গোলের আগে ও পরে ভালো দুটি সুযোগ পেয়েছিলেন টনি ক্রুস। তবে তার দুটি শটই অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

দ্বিতীয়ার্ধের নবম মিনিটে হ্যাটট্রিক পেয়ে যেতে পারতেন ইমানুয়েল। ডি-বক্সে ভারানেকে কাটিয়ে শট নিয়েছিলেন তিনি, তবে এগিয়ে এসে ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়ার বদলি নামা গোলরক্ষক আলফুঁস আরিওলা।

পরের মিনিটেই ব্যবধান কমান রামোস। বেনজেমার গোলমুখে বাড়ানো ক্রসে রিয়াল অধিনায়কের লাফিয়ে নেওয়া হেডে বল ঠিকানা খুঁজে পায়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটা তার দ্বাদশ গোল। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলে স্প্যানিশ এই সেন্টার-ব্যাকের গোলসংখ্যা ১১০।

৮৪তম মিনিটে ভিনিসিউসকে পেছন থেকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডাচ মিডফিল্ডার রুড ফরমার।

ওই ফ্রি-কিক থেকেই সমতায় ফেরে রিয়াল। জার্মান মিডফিল্ডার ক্রুসের শটে ডি-বক্সে বল পেয়ে লাফিয়ে নেওয়া কোনাকুনি হেডে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কাসেমিরো।

ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় এই নিয়ে ঘরের মাঠে টানা তিন ম্যাচ জয়শূন্য রইলো রিয়াল। গত মৌসুমে গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডে সিএসকেএ মস্কোর কাছে ৩-০ গোলে উড়ে যাওয়ার পর শেষ ষোলোর ফিরতি পর্বে আয়াক্সের কাছে ৪-১ ব্যবধানে হেরে বিদায় নিয়েছিল রেকর্ড ১৩ বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।  

একই সময়ে শুরু হওয়া ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে ইতালির ক্লাব আতালান্তার মাঠে শেষ মুহূর্তে গোলে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে ইউক্রেনের শাখতার দোনেৎসক।