বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত করার পর সতীর্থদেরও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন তারকা এই ডিফেন্ডার।
শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ৪-০ গোলে হারায় প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেওয়ার শঙ্কায় ছিল বার্সেলোনা। নকআউট পর্বে প্রথম লেগের চার গোলের ঘাটতি দ্বিতীয় লেগে পুষিয়ে নেওয়ার নজিরও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে ছিল না। তাই লুইস এনরিকের দলের বিদায় দেখছিলেন অনেকে।
পিএসজির মাঠে লিওনেল মেসি-আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার বাজে পারফরম্যান্সের কড়া সমালোচনা করেছিলেন ফ্রান্সের সাবেক কোচ রেমোঁ ডমেনেখ। আর লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের প্রসঙ্গে তার মত, ইউরোপ শাসন করা দলটি এখন আর আগের রূপে নয়, এটা তাদের ছায়া মাত্র।
অন্যদিকে, বার্সেলোনা তাদের খেলার ধরণ হারিয়ে ফেলেছে ও নীতি থেকে সরে এসেছে বলে সমালোচনা করেন ইতালির সাবেক কোচ আররিগো সাক্কি।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাজয় কামনা করেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের অধিনায়ক সের্হিও রামোসও। বলেছিলেন, বার্সেলোনা হারলে স্বস্তিতে ঘুমাবেন তিনি।
দুর্দান্ত এই সাফল্যের পর সমালোচকদের উদ্দেশে পিকে বলেন, "এটা একটি ঐহিতাসিক কীর্তি, যা পূর্বে কখনোই ঘটেনি।"
"গথেনবার্গ (এর বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো, ১৯৮৫-৮৬ সালের ইউরোপিয়ান কাপে) এত বড় ছিলো না, (২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে চেলসির বিপক্ষে ফিরতি লেগে যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরানো) ইনিয়েস্তার গোলটিও না… এটাই সেরা। এটার কোনো তুলনা নেই। কিন্তু কোচ সাক্কি ও ডমেনেখের মতো অনেকেই ছিল, যারা আমাদের কবর দিতে চেষ্টা করেছিল।"
পিকে বলেন, "বার্সার এই প্রজন্ম এক দিন সিংহাসন হারাবে, কিন্তু আমরা লড়াই করে যাব। আমরা এখন কোয়ার্টার-ফাইনালে, যেটা আমাদের লক্ষ্য ছিল।"