বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে করা গোলটিকে নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর সুন্দর বলে উল্লেখ করেছেন আতলেতিকো মাদ্রিদের মিডফিল্ডার সাউল নিগেস।
Published : 28 Apr 2016, 03:47 PM
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের প্রথম পর্বে গত বুধবার নিজেদের মাঠ ভিসেন্তে কালদেরনে সাউলের একমাত্র গোলে জার্মানির ক্লাব বায়ার্নকে হারায় আতলেতিকো।
একাদশ মিনিটে একক নৈপুণ্যে আতলেতিকোকে এগিয়ে দেন সাউল। প্রায় ৩৫ গজ দূরে বল পেয়ে বায়ার্নের দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। সেখানেও কাছাকাছি থাকা তিন ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে দূরের পোস্ট দিযে গোল করেন স্পেনের এই মিডফিল্ডার।
ম্যাচ শেষে সাউল বলেন, “নিশ্চিত করেই এটা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোল। আর এটা সবচেয়ে সুন্দর গোলও হতে পারে।”
গোলটি করার আগে নিজের মনে কী খেলা করেছিল তাও ম্যাচ শেষে বলেন সাউল।
“আমি ড্রিবলিং করছিলাম। আমি দেখতে পেয়েছিলাম, প্রতিপক্ষের দুজন আমাকে আটকাতে এসেছিল। তাই বক্সে ঢোকার পর বলটি আমার শক্তিশালী পায়ে নেওয়ার কথা ভাবি। আর এ কারণেই আমি বাঁ পায়ে ফিনিশ করি।”
সাউলের ফুটবলের হাতেখড়ি হয় রিয়াল মাদ্রিদে। কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, স্পেনের সফলতম ক্লাবটির কাছ থেকে ভালো আচরণ পাননি।
১৪ বছর বয়সে রিয়াল থেকে আতলেতিকার একাডেমিতে যোগ দেন সাউল। গত মৌসুমে আতলেতিকোর ৪-০ ব্যবধানের জয়ে অসাধারণ এক বাইসাইকেল কিক থেকে গোল করে নিজের সাবেক ক্লাব রিয়ালের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেন তিনি।
এ মৌসুমে ৩৬টি ম্যাচে শুরুর একাদশে নামা ২১ বছর বয়সী সাউল কখনও ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, কখনও সেন্টার-ব্যাক, কখনও উইংয়ে খেলেন। আর সব পজিশনেই ভালো করেন তিনি।
বায়ার্নের বিপক্ষে গোলে এ মৌসুমে সাউলের গোলসংখ্যা ৯ হলো।
আতলেতিকোর কোচ দিয়েগো সিমেওনে বলেন, “সাউলের অনেক গুণ আছে। সে নিখুঁত এক খেলোয়াড়।”
প্রতিপক্ষ বায়ার্ন কোচ পেপ গুয়ার্দিওলারও প্রশংসা পান সাউল।
“আমি তাকে আগেও দেখেছি এবং সে দারুণ এক খেলোয়াড়। স্পেনের ফুটবল আরেকটা অসাধারণ প্রতিভা পেল।”