ভুটানকে হারিয়ে আরও বেশি অনুপ্রেরণা নিয়ে গ্রুপ পর্বের বৈতরণী পেরুতে চান এই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার।
Published : 27 Jun 2023, 03:57 PM
১০ অক্টোবর, ২০১৬ সাল। এই দিনেই ভুটানের বিপক্ষে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ওই এক হারে আন্তর্জাতিক ফুটবলের আঙিনায় দেড় বছর পা পড়েনি দলের। ভয়ঙ্কর সেই অতীত আজও তাড়া করে ফেরে তপু বর্মনকে। বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দুঃসহ সেই স্মৃতির পুনরাবৃত্তি এই ডিফেন্ডার দেখতে চান না কোনোভাবেই।
বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে বুধবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভুটান। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
একই দিন বিকেল ৪টায় খেলবে লেবানন ও মালদ্বীপ; এ ম্যাচেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বাংলাদেশের করণীয়। তপুও সেটা জানেন, কিন্তু এশিয়ান কাপের প্রাক-বাছাইয়ের সেই ম্যাচের ৩-১ গোলের হারও ভোলেননি তিনি।
ভুটানের বিপক্ষে পরের তিন দেখায় ঠিকই জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ২-০ গোলে, ২০১৯ সালে দুই প্রীতি ম্যাচে যথাক্রমে ৪-১ ও ২-০ ব্যবধানে। টানা দুই ম্যাচ জয়ের স্বাদ দল সবশেষ পেয়েছিল সেবারই। চলতি সাফে মালদ্বীপ ৩-১ গোলে উড়িয়ে আসা বাংলাদেশের সামনে তা ফিরে পাওয়ার হাতছানি আছে।
এই সুযোগ লুফে নিতে চান তপুও। তাই লেবানন-মালদ্বীপ ম্যাচের ফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে চান না তিনি। ভুটানকে হারিয়ে ভরপুর আত্মবিশ্বাস নিয়ে সেরা চারের মঞ্চে যেতে চান ২৮ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার।
“(লেবাননের বিপক্ষে) মালদ্বীপ কী করছে এটা একটা বড় ব্যাপার। মালদ্বীপ হেরে গেলে ভুটানের বিপক্ষে একটা পয়েন্ট পেলেই হয়ত আমরা সেমি-ফাইনালে চলে যাব। তবে মালদ্বীপ ম্যাচের পর আমরা আমাদেরকে মানসিকভাবে যেভাবে চাঙা করেছি, সেখান থেকে আমরা সরে আসছি না। কারণ, ভুটানের সঙ্গে আমাদের একটা বাজে অতীত আছে, সেই ঘটনা যেন না ফিরে আসে, সেটাই আমরা চাইব।”
“আমরা জয়ের ধারা ধরে রাখতে চাইব, কারণ জয়ের মানসিকতা একটা অভ্যাস তৈরি করে দেয়। আমরা সেভাবেই পরিণত হতে চাই। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব মাঠে। কারণ জিতে সেমি-ফাইনালে গেলে সেটা হবে দলের জন্য মস্ত বড় অনুপ্রেরণা। সেমি-ফাইনালে তখন আরও ভালো খেলার অনুপ্রেরণা থাকবে। আমরা চাইব, টানা দুই ম্যাচ জিতে সেমিতে যেতে, কারণ তখন প্রতিপক্ষও আমাদের ভয় পাবে যে, এই দলটা অনেক কঠিন পরিস্থিতি থেকে জিতে এ পর্যন্ত এসেছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার হবে।”
টানা দুই ম্যাচ হেরে আসা ভুটান প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছে মাত্র একবার। তবে দলটির আক্রমণভাগে চেনচো গাইয়েলতসেন, তেনজিং দর্জির মতো অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড আছেন। তপু, রহমত মিয়া, বিশ্বনাথ ঘোষদের পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। সতর্ক তপু তাই রক্ষণ জমাট রাখতে মনোযোগী।
“ভুটানের কয়েকজন খেলোয়াড় আছে, যারা আমাদের জন্য হুমকি হতে পারে। কোচ আমাদের তাদের ব্যাপারে বলেছে এবং ভিডিও সেশন আছে, তখন আমরা তাদেরকে পরখ করব। আমরা সেই অনুপাতেই ম্যাচে নামব এবং কোচের নির্দেশনা অনুসরণ করব। ভুটানের কয়েকজন খেলোয়াড় আছে যারা খুবই গতিসম্পন্ন।”
“মালদ্বীপ ম্যাচে যেমন আমরা টেনশনে ছিলাম, জয় ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না আমাদের। ভুটান ম্যাচ নিয়েও আমরা সেভাবেই ভাবছি। ওদেরকে আমাদের হারাতেই হবে।”