চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
রাফিনিয়া-ইয়ামাল-লেভানদোভস্কিদের বিপক্ষে দলকে সুশৃঙ্খল থাকতে বললেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড কোচ নিকো কোভাচ।
Published : 09 Apr 2025, 08:16 AM
টিকে থাকতে হলে বার্সেলোনার আক্রমণভাগকে সামলানোর পথ বের করতেই হবে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের আগে এটাই দলের কাছে বরুশিয়া কোচ নিকো কোভাচের বার্তা। কাজটা যে সহজ হবে না সেটা ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন তিনি। তবে সব দলেরই কোনো না কোনো দুর্বলতা থাকে। বার্সেলোনার সেই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে সেমি-ফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখছেন কোভাচ।
শেষ আটের প্রথম লেগে বুধবার বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে ডর্টমুন্ড। নতুন আঙ্গিকের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রাথমিক পর্বেও স্প্যানিশ দলটির বিপক্ষে খেলেছিল তারা। দুইবার সমতা ফেরানোর পরও হেরেছিল ৩-২ গোলে।
ছন্দে থাকা তিন ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া, লামিনে ইয়ামাল ও রবের্ত লেভানদোভস্কি গোল করছেন, করাচ্ছেন। ধারাল আক্রমণ, দুর্দান্ত মাঝমাঠ আর জমাট রক্ষণে ভর দিয়ে চলতি বছর অজেয় হয়ে ওঠেছে বার্সেলোনা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে অপরাজিত রয়েছে টানা ২২ ম্যাচে।
আট ম্যাচ বাকি থাকতে রেয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে লা লিগার চূড়ায় আছে হান্সি ফ্লিকের দল। চলতি মাসের শেষ দিকে কোপা দেল রের ফাইনালে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে খেলবে তারা।
এমন দলের বিপক্ষে নিজেদের আন্ডারডগ হিসেবেই দেখেন কোভাচ। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের ‘আউটসাইডার’ হিসেবেও বর্ণনা করলেন ডর্টমুন্ড কোচ।
“আমরা এখানে আন্ডারডগ হিসেবে এসেছি, তবে এতে আমাদের প্রতিপক্ষের কাজটা সহজ হবে না। আমরা উন্নতি করছি, তাই নিজেদের আন্ডারডগ হিসেবে দেখছি। এখানে দুটি ম্যাচ আছে, তাদের ডর্টমুন্ডেও খেলতে হবে। আমি মনে করি, আমাদের সেমি-ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা আছে।”
গত আসরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রানার্সআপ হয়েছিল ডর্টমুন্ড। চলতি মৌসুমে বুন্ডেসলিগায় ভুগছে দলটি। ছয় রাউন্ড বাকি থাকতে আছে আট নম্বরে। বাড়ছে ইউরোপ সেরার মঞ্চের পরের আসরে জায়গা না পাওয়ার শঙ্কা।
মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে সেন্টার ব্যাক নিকো শ্লটারবেককে হারিয়েছে ডর্টমুন্ড। কার্ডের খাড়ায় পাসকেল গ্রসকেও পাচ্ছে না দলটি। এই মুহূর্তে এসব নিয়ে একদমই ভাবছেন না কোভাচ।
“আমরা জানি, আগামীকাল কেমন আক্রমণ শক্তির মুখোমুখি হতে হবে আমাদের। আমাদের সুশৃঙ্খল হতে হবে। ওরে বক্সের ভেতরে ও আশেপাশে ভীষণ শক্তিশালী। ওরা খুবই শক্তিশালী তবে সব প্রতিপক্ষেরই দুর্বলতা আছে আর সেটা ব্যবহার করতে চাই।”
“আমরা কী পরিকল্পনা করেছি সেটা বলে দেওয়াটা বুদ্ধিমানের মতো কাজ হবে না। তবে আমাদের একটি ভাবনা আছে।”
এক টুর্নামেন্টের ফাইনালে আছে বার্সেলোনা, আরেকটাতে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চূড়ায়। আর ইউরোপ সেরার মঞ্চে খেলছে কোয়ার্টার-ফাইনালে। ট্রেবল জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বাড়ছে ক্রমেই। নিজের জানাশোনা থেকে কোভাচ নিশ্চিত, এসব নিয়ে ভাবার মতো লোক নন বার্সেলোনা কোচ ফ্লিক।
“আমি কল্পনা করতে পারছি না, হান্সি ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন নিয়ে কথা বলছেন। তাকে চিনি আমি। তিনি সোয়াবিয়া (জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল) থেকে এসেছেন। তিনি বাস্তববাদী এবং কাজে মনোযোগী। বার্সেলোনা তিনটি শিরোপা জিততে পারবে কিনা এ নিয়ে তিনি কোনো কথা বলবেন না।”
“আমরা এখানে ম্যাচ জিততে এসেছি। যদি ফল ভালো হয় তাহলে সেটা নিয়ে আমরা খুশিমনে বিদায় নেব।”