শাভির ওই ঘোষণার পর থেকে আর হারেনি দলটি, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১২ ম্যাচ অপরাজিত তারা।
Published : 12 Apr 2024, 10:59 PM
মৌসুম শেষে বার্সেলোনা কোচের পদ থেকে শাভি এর্নান্দেস সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর উন্নতির ধারায় আছে দলটির পারফরম্যান্স। সাবেক এই তারকা মিডফিল্ডার নিজেই বিষয়টি কয়েকবার বলেছেন। বললেন আবারও। তার মতে, দিক হারিয়ে দলের কক্ষপথে ফেরার পেছনে তার ওই ঘোষণা ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে।
চলতি বছরের প্রথম মাসটা ভীষণ খারাপ কাটে বার্সেলোনার। মাঝামাঝি সময়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয় তারা। এর ১০ দিন পর তারা আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ৪-২ গোলে হেরে কোপা দেল রের কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ে।
ওই দুই হারেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন কোচ। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই গত ২৭ জানুয়ারি লা লিগায় ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৫-৩ গোলে হেরে যায় বার্সেলোনা। ওই হারের পরপরই শাভি ঘোষণা দেন, চলতি মৌসুম শেষে কাম্প নউ ছাড়বেন তিনি।
তার সেই আচমকা ঘোষণা নিয়ে তুমুল চর্চা চলে। তবে এর পরের সময়ে বার্সেলোনার পারফরম্যান্সে উন্নতি বেশ কৌতুহল জাগানিয়া। শাভির ওই ঘোষণার পর থেকে আর হারেনি দলটি, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১২ ম্যাচ অপরাজিত তারা।
এতে কিছুটা হলেও বার্সেলোনা উঠে এসেছে লা লিগায় শিরোপা লড়াইয়ে, ২০২০ সালের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলছে তারা; সেখানেও প্রথম লেগে পিএসজিকে তাদেরই মাঠে গিয়ে হারিয়ে দিয়েছে ৩-২ গোলে।
লা লিগায় শনিবার কাদিসের মাঠে খেলবে বার্সেলোনা। বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি শুরু হবে রাত একটায়। এর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে শাভি দলের সাম্প্রতিক সময়ের অজেয় যাত্রার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, তার সিদ্ধান্ত দলের ওপর ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে।
“জনসম্মুখে ওই সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকে, ক্লাবের আবহ এবং গণমাধ্যম থেকে যা কিছু বলা হতো, তা অনেকটাই শান্ত হয়েছে। যখন কোনো কিছুর মেয়াদ শেষের দিন উল্লেখ থাকে, তখন সেটা কাজে দেয়। এখন আমরা যেখানে আছি, সিদ্ধান্তটি নেওয়ার সময়ই আমি এ বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত ছিলাম। তখন ক্লাবের প্রেসিডেন্টকে (হুয়ান লাপোর্তাকে) আমি এটাই বলেছিলাম। ক্লাবের ভালোর জন্যই আমি সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলাম।”
“যদি সিদ্ধান্তটি না নিতাম, তাহলে একটা বিপর্যয় হয়ে যেত। সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। (ওই সিদ্ধান্তের ফলে) ক্লাবে যে শান্ত ভাব এসেছে, সেই কারণেই আমরা এই অবস্থায় আসতে পেরেছি। এটা ছাড়া যা খুব কঠিন হতো।”
৩০ রাউন্ড শেষে লা লিগায় রেয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৮ পয়েন্টে পিছিয়ে দুইয়ে আছে বার্সেলোনা। ২০ জয় ও ৭ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৬৭।
২৩ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রেয়াল।