পরিসংখ্যানের আলোয় ম্যান সিটি-ইন্টার মিলান ফাইনাল

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এই প্রথম মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দল দুটি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2023, 01:23 PM
Updated : 9 June 2023, 01:23 PM

দুই বছর আগে খুব কাছে গিয়েও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিততে না পারার হতাশা সঙ্গী হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটির। অধরা ইউরোপ সেরার ট্রফিটি ঘরে তোলার আরেকটা সুযোগ ইংলিশ ক্লাবটির সামনে। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান, যারা মুখিয়ে আছে এক যুগ পর শিরোপার স্বাদ নিতে। 

এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ না জেতা সিটি ২০২১ সালেও খেলে ফাইনাল। কিন্তু সেবার চেলসির বিপক্ষে তারা হেরে যায় ১-০ গোলে। আর ইন্টার ইউরোপ সেরার মঞ্চে তাদের তিন শিরোপার শেষটি জেতে ২০০৯-১০ মৌসুমে। 

দুই দলের চাওয়া-পাওয়ার হিসেব মিলবে শনিবার। ইস্তানবুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। 

সিটি ও ইন্টারের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের পাঠকদের জন্য কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো। 

# এই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি ও ইন্টার মিলান। ২০০৫ সালের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল দিয়ে কোনো দুই দল প্রথমবার প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে মুখোমুখি হবে। সেবার লিভারপুলের বিপক্ষে খেলেছিল ইতালির আরেক দল এসি মিলান, সেই ম্যাচটিও হয়েছিল ইস্তানবুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে।    

# ইউরোপ সেরার মঞ্চে ইংলিশ ও ইতালিয়ান দলের মধ্যে ফাইনাল হয়েছে এর আগে চারবার এবং প্রতিবারই ইংলিশ দল ছিল লিভারপুল। অ্যানফিল্ডের দলটি ১৯৮৪ সালে রোমা ও ২০০৫ সালে এসি মিলানের বিপক্ষে জেতে। ১৯৮৫ সালে ইউভেন্তুস ও ২০০৭ সালে এসি মিলানের বিপক্ষে হারে লিভারপুল। 

# এর আগে দুইবার ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে খেলেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ১৯৭০ সালে কাপ উইনার্স কাপে তারা ২-১ গোলে হারায় পোল্যান্ডের দল গুর্নিগ জাবজেকে। আর ২০২১ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে চেলসির বিপক্ষে ১-০ গোলে হারে সিটি। 

# আসরে প্রথম ম্যাচ হারের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠা চতুর্থ দল ইন্টার মিলান। আগের তিনটি দলই ফাইনালে হেরেছিল, এসি মিলান (১৯৯৪-৯৫), বায়ার্ন মিউনিখ (১৯৯৮-৯৯) ও টটেনহ্যাম হটস্পার (২০১৮-১৯)। ইউরোপিয়ান কাপে আসরের প্রথম ম্যাচ হারের পর শিরোপা জিতেছে দুটি দল, রিয়াল মাদ্রিদ (১৯৬৫-৬৬) ও এসি মিলান (১৯৬৮-৬৯)। 

# চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে দায়িত্ব পালন করা ষষ্ঠ ইতালিয়ান কোচ হবেন ইন্টার মিলানের সিমোনে ইনজাগি (কার্লো আনচেলত্তি, ফাবিও কাপেলো, মার্সেলো লিপ্পি, রবের্তো দি মাত্তেও ও মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রির পর)। এই প্রতিযোগিতার শিরোপার লড়াইয়ে জার্মানিরও ৬ জন কোচ ছিলেন, যা সর্বোচ্চ। 

# কোচ হিসেবে পেপ গুয়ার্দিওলার এটি চতুর্থ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল, বার্সেলোনার হয়ে ২০০৯ ও ২০১১ এবং সিটির হয়ে ২০২১ ও ২০২৩ সালে। তার চেয়ে বেশি ফাইনালে কোচিং করিয়েছেন কেবল কার্লো আনচেলত্তি (৫টি)। 

# চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় শিরোপা জিতে জিনেদিন জিদানকে ছোঁয়ার হাতছানি গুয়ার্দিওলার সামনে। তাদের চেয়ে বেশি শিরোপা জিতেছেন কেবল আনচেলত্তি (৪টি)। এছাড়া পঞ্চম কোচ হিসেবে দুই দলের হয়ে ইউরোপ সেরার ট্রফি জেতার সুযোগ গুয়ার্দিওলার সামনে। আগের চারজন হলেন- আনচেলত্তি (এসি মিলান ও রিয়াল মাদ্রিদ), জোসে মরিনিয়ো (পোর্তো ও ইন্টার মিলান), ইয়ুপ হাইনকেস (বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ) এবং ওটমার হিটজফিল্ড (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও বায়ার্ন মিউনিখ)। 

# এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২ ম্যাচের ৮টিতে কোনো গোল হজম করেনি ইন্টার মিলান; নকআউট পর্বের ৬ ম্যাচের পাঁচটি এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। ফাইনালে সিটিকে আটকে রাখতে পারলে এক মৌসুমে নকআউট পর্বে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে গোল না হজম করার রেকর্ডে আর্সেনালকে (২০০৫-০৬ মৌসুমে ৬ ম্যাচ) স্পর্শ করবে তারা। 

# এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ১২ গোল করেছেন আর্লিং হলান্ড। এই প্রতিযোগিতায় কোনো ইংলিশ ক্লাবের হয়ে এক আসরে যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ; ২০০২-০৩ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ১২ গোল করেছিলেন রুড ফন নিস্টলরয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে গোল করা নরওয়ের সবশেষ ফুটবলার ছিলেন উলে গুনার সুলশার, ১৯৯৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে।