ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটে দুই গোল। পরের ১৫ মিনিটে দুটি গোল অন্য প্রান্তে। দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দল গোল করল আরও দুটি করে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ, গতি, উত্তেজনা, সব মিলিয়ে প্রাণবন্ত ফুটবলের প্রদর্শনী। কিন্তু এই ম্যাচে মন মজেনি ইয়ুর্গেন ক্লপের। লিভারপুল কোচ বললেন, দর্শকদের জন্য এমন ম্যাচ উপভোগ্য হলেও কোচের জন্য খুব একটা সুখকর নয়।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে মৌসুমের শেষ দিনে সাউথ্যাম্পটনের মাঠে লিভারপুলের ম্যাচটি ড্র হয় ৪-৪ গোলে।
দিয়োগো জটা ও রবের্তো ফিরমিনোর গোলে শুরুর দিকেই এগিয়ে যায় লিভারপুল। তবে ম্যাচের বয়স ৩০ মিনিট হওয়ার আগেই গোল দুটি শোধ করে দেয় সাউথ্যাম্পটন। দ্বিতীয়ার্ধে তারা আরও দুই গোল করে এগিয়ে যায় ৪-২ গোলে। তবে সেখান থেকে আবার ঘুরে দাঁড়ায় লিভারপুল। পরপর দুই মিনিটে জটা ও হাকপোর গোলে তারা সমতা ফেরায়। ওই স্কোরলাইনেই শেষ হয় ম্যাচ।
ম্যাচের পর কোচ ক্লপ বললেন, এতটা জমজমাট ম্যাচ তিনি আশা করেননি এ দিন।
“পাগলাটে এক ম্যাচ… সত্যি বলতে, একটু বেশিই খ্যাপাটে ম্যাচ, যা আমার অতটা ভালো লাগেনি। শুরুটা অবশ্যই ভালো ছিল (লিভারপুলের জন্য), শেষটা তো অসাধারণ। কিন্তু মাঝের সময়টা যথেষ্ট ভালো ছিল না। ব্যাপারটি এরকমই।”
“৪-৪ গোলে ড্র, আট গোলের ম্যাচ, লোকের জন্য এটা বিনোদনদায়ী ম্যাচ। কিন্তু আমি খুব একটা উপভোগ করিনি।”
সাউথ্যাম্পটনের লড়াইয়ের প্রশংসা অবশ্য করছেন ক্লপ। তবে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে লিগ থেকে নেমে যাওয়া প্রতিপক্ষকে সুযোগটা করে দেওয়ায় নিজেদের দায়ও নিচ্ছেন লিভারপুল কোচ।
“আমরাই সাউথ্যাম্পটনে সুযোগ করে দিয়েছি। দুয়ার খুলে দিয়েছি আমরাই, ওরা অবশ্যই সুযোগ নিতে প্রস্তুত ছিল।
“বলতেই হবে, সাউথ্যাম্পটন দারুণ একটি ক্লাব। এখানকার পুরো আবহই অন্যরকম… বোঝাই যায়, তারা কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ ক্লাব। প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের শেষ দিনটি ওদের ফুটবলাররা উপভোগ করতে চেয়েছিল, নিজেদের মেলে ধরতে মরিয়া ছিল এবং আমরাও ভুল সময়ে বাজে সব পাস দিয়ে ওদেরকে সুযোগ করে দিয়েছি।”
তবে দ্বিতীয়ার্ধে যেভাবে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত হার না মেনে মাঠ ছেড়েছে দল, সেই মানসিকতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করলেন লিভারপুল কোচ।
“৪-২ গোলে পিছিয়ে থাকার পর ফিরতে পারাটা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে। মৌসুমের শেষ দিন, অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন যে, সব শেষ হয়ে গেছে। তবে ছেলেরা লড়াইয়ে হাল ছাড়েনি। ফুটবলটা যখন আমরা সঠিক পথে খেলতে শুরু করি, তখন আমরা সত্যিই খুব ভালো দল।