ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
রবের্তো মার্তিনেস মনে করছেন, তাদের বিপক্ষে জয় প্রাপ্য ছিল অনেক বেশি তীব্রতা নিয়ে খেলা জর্জিয়ার।
Published : 27 Jun 2024, 03:52 PM
বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করতে গিয়ে হারের পর প্রতিপক্ষকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন রবের্তো মার্তিনেস। পর্তুগাল কোচ মনে করছেন, তাদের বিপক্ষে জয়ের পথে নিজেদের ইতিহাসের সেরা ম্যাচ খেলেছে জর্জিয়া।
জার্মানির পশ্চিমের শহর গেলসেনকিরশেনে বুধবার রাতে পর্তুগালের বিপক্ষে ২-০ গোলের স্মরণীয় জয় পায় জর্জিয়া। এই জয়ে তৃতীয় সেরা দলের একটি হয়ে প্রথমবার শেষ ষোলোয় নাম লেখায় তারা।
পরের ধাপের টিকেট তো বটেই, দলের গ্রুপ সেরা হওয়াটাও নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় শুরুর একাদশে তিনটি পরিবর্তন আনেন মার্তিনেস। তুরস্কের বিপক্ষে জেতা ম্যাচ থেকে টিকে যান ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোসহ কেবল তিন জন। গোলহীন থাকার পর ৬৬ মিনিটে পর্তুগিজ অধিনায়ককেও তুলে নেন তিনি।
বেঞ্চের শক্তি পরখ করার ম্যাচটিতে খারাপ খেলেনি পর্তুগাল। ম্যাচের ৭৩ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে তারা। গোলের জন্য ২২টি শট করে ৫টি রাখে লক্ষ্য বরাবর। তবে প্রতিবারই তাদের হতাশ করেন জর্জিয়া গোলরক্ষক জর্জিও মামারদাশভিলি।
বিপরীতে বল দখলের লড়াইয়ে অনেক পিছিয়ে থাকলেও লক্ষ্য বরাবর ৩টি শট করে দুটিতেই জাল খুঁজে নেন জর্জিয়ার খাভিচা কাভারাৎসখেলিয়া ও জর্জেস মিকাউতাদজে। দ্বিতীয় মিনিটে কাভারাৎসখেলিয়ার গোলের পর ৫৭তম মিনিটে মিকাউতাদজে সফল স্পট কিকে বাড়ান ব্যবধান।
ম্যাচ শেষে দুই দলের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করে মার্তিনেস বলেন, জয় প্রাপ্য ছিল জর্জিয়ার।
"এটি স্রেফ পরাস্ত হওয়া। আমরা অনেক কম তীব্রতা নিয়ে খেলা শুরু করেছি এবং শুরুতেই গোল হজম করেছি। জর্জিয়ার এটিই প্রয়োজন ছিল। গোলের সামনে ও শেষ পাসে আমরা যথেষ্ট স্বচ্ছ ছিলাম না। তাদের গোলরক্ষকও অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। আমরা চেষ্টা করেও গোল দিতে পারিনি। এতে জর্জিয়ার বিশ্বাস আরও বেড়েছে।"
"আমরা জর্জিয়াকে হালকাভাবে নেইনি। তবে জর্জিয়া তাদের ইতিহাসের সেরা ম্যাচ খেলছিল। আর আমরা আগেই গ্রুপের সেরা হয়ে শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিলাম। তাই জর্জিয়ার তীব্রতার সঙ্গে তাল মেলানো কঠিন ছিল। এই পরাজয় মানসিক জায়গা থেকে আমাদের প্রস্তুতি ভালো করবে।"
শুরুর একাদশে এক গাদা পরিবর্তন এনে ফল পক্ষে না পেলেও নিজের লক্ষ্য পূরণের সন্তুষ্টির কথা জানান পর্তুগাল কোচ।
"আজ অন্যান্য ফুটবলারদের সুযোগ দেওয়ার দিন ছিল। তারা নিজেদের মতো করে খেলে কেমন করে দেখার প্রয়োজন ছিল। রুবেন দিয়াস, বের্নান্দো সিলভা বা ব্রুনো ফের্নান্দেসকে আমি আজ নামাতে চাইনি।"
"সবশেষ ম্যাচ থেকে আমি ৭-৮ জন ফুটবলার বদলেছি। নকআউট পর্বের আগে সম্ভাব্য সব ফুটবলারকে তৈরি করতে চেয়েছি।"
আগামী সোমবার রাতে শেষ ষোলোর ম্যাচে স্লোভেনিয়ার মুখোমুখি হবে পর্তুগাল।