সব বিভাগে ভালো খেলার ফলে লাইপজিগের বিপক্ষে জয় এসেছে বলে মনে করেন ম্যানচেস্টার সিটি কোচ।
Published : 05 Oct 2023, 06:41 PM
বয়স মাত্র ১৮ বছর। কিন্তু এই অল্প বয়সেই ম্যানচেস্টার সিটির জার্সিতে আলো ছড়াচ্ছেন রিকো লুইস। লাইপজিগের বিপক্ষে দলের সবশেষ জয়েও তিনি ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখাদের একজন। উঠতি এই তারকাকে তাই সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলারও মুগ্ধতার শেষ নেই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুধবার রাতে লাইপজিগের মাঠ রেড বুল অ্যারেনা থেকে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে সিটি। টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘জি’ গ্রুপের শীর্ষে তারা।
গত মৌসুমেই রাইট-ব্যাক পজিশনে লুইসকে ব্রেক থ্রু দিয়েছিলেন গুয়ার্দিওলা। আস্থার প্রতিদান এই তরুণ চলতি মৌসুমেও দিয়ে চলেছেন। লাইপজিগের বিপক্ষে ফিল ফোডেনের গোলে ভূমিকা ছিল তার। ম্যাচজুড়ে সিটিকে চালকের আসনে রাখাদের একজন ছিলেন তিনি। লুইসকে নিয়ে তাই দারুণ উচ্ছ্বসিত গুয়ার্দিওলা।
“কী দারুণ খেলোয়াড়! কী দারুণ খেলোয়াড়! আমি ১৪-১৫ বছর ধরে কোচিং করাচ্ছি এবং বার্সেলোনায় বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজনকে (লিওনেল মেসি) কোচিং করানোর সৌভাগ্য হয়েছে আমার।”
“একজন হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসাবে কিভাবে মুভ করতে হবে, জায়গা পেলে কিভাবে ছুটতে হবে (লুইস জানে)... এ পর্যন্ত আমি যাদের ট্রেনিং করিয়েছি, তাদের সেরাদের মধ্যে সে একজন।”
কেবল মাঠের পারফরম্যান্স নয়, তরুণ লুইসের আরও অনেক দিকও ভীষণ মনে ধরেছে সিটি কোচের।
“সে বিনয়ী একজন মানুষ। বেশি কথা বলে না। সে এ মৌসুমে খুব বেশি খেলেনি, কিন্তু অনেক বেশি (ম্যাচ) খেলতে যাচ্ছে।”
লাইপজিগ ম্যাচের প্রথমার্ধে সিটির একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। ২৫তম মিনিটে ফোডেন দলটিকে এগিয়ে নেওয়ার পর তারা ধাক্কা খায় ৪৮তম মিনিট, লুইস ওপেন্দা ফেরান সমতা।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেন সিটির আর্লিং হলান্ড। ৮৪তম মিনিট আলভারেস দলকে ফের এগিয়ে নেওয়ার আগে পোস্ট কাঁপিয়ে ফেরে ফোডেনের প্রচেষ্টা। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে জেরেমি ডোকুর গোলে টানা দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত হয় তাদের। দলের সার্বিক পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি গুয়ার্দিওলা।
“সব বিভাগেই আমরা চমৎকার খেলেছি। যখন একটা দল শুরুতেই প্রচুর পাস খেলতে পারে, তখন বোঝা যায়, ম্যাচে ভালো কিছু হতে যাচ্ছে।”
“বদলি নামা খেলোয়াড়রাও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সবাই একে-অপরকে সাহায্য করেছে। আমি আসলেই ভীষণ খুশি। কঠিন একটা ম্যাচ ছিল।”