ইতালিয়ান ফুটবল
Published : 18 Sep 2024, 05:09 PM
দীর্ঘদিন ধরে কোলন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ের পর হেরে গেলেন ইতালিয়ান ফুটবল গ্রেট সালভাতোরে স্কিল্লাচি। পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন ১৯৯০ বিশ্বকাপের তারকা।
২০২২ সাল থেকে ক্যান্সারে ভুগছিলেন স্কিল্লাচি। তার মৃত্যুর খবর বুধবার নিশ্চিত করে পালেরমো হাসপাতাল, যেখানে চলছিল তার চিকিৎসা। ৫৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।
১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ দিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন স্কিল্লাচি। সেবার তৃতীয় হয়ে আসর করে ইতালি। সেমি-ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরে যায় টাইব্রেকারে। কিন্তু চমক জাগানো ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের আলো ছড়িয়ে ফুটবল আঙিনায় আলোড়ন তোলেন ‘তোতো’ নামে পরিচিত স্কিল্লাচি।
ঘরের মাঠের ওই বিশ্বকাপে সাত ম্যাচ খেলে ৬ গোলের পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্ট করেন তিনি। আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট জিতে নেন স্কিল্লাচি। শুধু তাই নয়, দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে টুর্নামেন্ট সেরার স্বীকৃতি গোল্ডেন বলও ওঠে তার হাতে।
অথচ স্কিল্লাচির বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছিল বদলি হিসেবে নেমে; দলের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে। দারুণ এক গোল করে সুযোগটি কাজে লাগান তিনি। পরের ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও তাকে খেলানো হয় বদলি হিসেবে।
এরপর আসরে দলের বাকি সব ম্যাচেই পুরো সময় খেলেন স্কিল্লাচি। গ্রুপ পর্বে চেক রিপাবলিক, শেষ ষোলোয় উরুগুয়ে, কোয়ার্টার-ফাইনালে আয়ারল্যান্ড, সেমি-ফাইনালে আর্জেন্টিনা এবং তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি করে গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।
ওই একটি বিশ্বকাপেই ইতালির প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন স্কিল্লাচি। জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ খেলেন তিনি ১৯৯১ সালে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে। ইতালির জার্সিতে সব মিলিয়ে কেবল ১৬ ম্যাচ খেলেন এই ফুটবলার। ৭ গোলের সঙ্গে করেন একটি অ্যাসিস্ট।
ক্লাব ক্যারিয়ার অবশ্য বেশ সমৃদ্ধ ছিল স্কিল্লাচির। সবচেয়ে বেশি ১৩২ ম্যাচ খেলেন ইতালির ইউভেন্তুসের হয়ে। ক্লাবটির হয়ে উয়েফা কাপ (এখনকার ইউরোপা) ও ইতালিয়ান ক্লাব জেতেন তিনি। পরে স্বদেশি আরেক ক্লাব ইন্টার মিলানের হয়ে পান আরেকটি উয়েফা কাপ জয়ের স্বাদ।
সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারে চারটি ক্লাবের হয়ে খেলা স্কিল্লাচি মাঠে নামেন সর্বমোট ৩৮৪ ম্যাচে। ১৫৯ গোলের সঙ্গে অ্যাসিস্ট করেন ১৯টি।