সেরি আ
এসি মিলান কোচের অভিযোগ, রেফারি তাদের প্রতি যথেষ্ট সম্মান দেখায়নি।
Published : 07 Dec 2024, 03:52 PM
মৌসুমে ভীষণ বাজে শুরুর পর যেন নতুন উদ্যমে শুরু করেছে আতালান্তা। একের পর এক জয় উপহার দিয়ে চলেছে তারা। সবশেষ এসি মিলানকে হারিয়ে সেরি আর পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠেছে গত আসরে চতুর্থ হওয়া দলটি।
ইতালির শীর্ষ লিগে লিগে কখনও চ্যাম্পিয়ন হতে না পারা ক্লাবটি শুক্রবার ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হারিয়েছে প্রতিযোগিতার ১৯ বারের শিরোপাজয়ীদের।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই আলভারো মোরাতা জালে বল জড়ালে এগিয়ে যাওয়ার উচ্ছ্বাসে মাতে মিলান। তবে লাইন্সম্যানের অফসাইডের পতাকায় তাদের উল্লাস থেমে যায়।
দ্বাদশ মিনিটে উল্টো গোল খেয়ে বসে মিলান। তাদের সাবেক ফরোয়ার্ড চার্ল দে কেটেলারের দারুণ হেডে এগিয়ে যায় আতালান্তা। ১০ মিনিট পর কাছ থেকে বল ঠিকানায় পাঠিয়ে সমতা টানেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড মোরাতা।
এই স্কোরলাইনেই ম্যাচ এগিয়ে যায় অনেক সময়। নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে আরেকটি কর্নারে মিলানকে স্তব্ধ করে দেয় স্বাগতিকরা। অরক্ষিত অ্যাডেমোলা লুকম্যান দারুণ হেডে দলকে পুরো তিন পয়েন্ট এনে দেন।
গত মে মাসে নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ডের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকেই বায়ার লেভারকুজেনের স্বপ্ন ভেঙে, ছয় দশকের শিরোপা খরা কাটিয়ে ইউরোপা লিগ জেতে আতালান্তা।
এবারের লিগের প্রথম ছয় রাউন্ডে মাত্র দুটিতে জিতেছিল আতালান্তা, হেরেছিল তিনটি। পরের ৯ ম্যাচের সবগুলো জিতে ১৫ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তারা।
সবশেষ জয়ে একটি রেকর্ডও হয়েছে এই আতালান্তা, স্পর্শ করেছে লিগে নিজেদের টানা সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত টানা ৯টি ম্যাচ জিতেছিল দলটি।
এক ম্যাচ কম খেলে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নাপোলি।
লিগে সময়টা একেবারেই ভালো কাটছে না মিলানের। সবশেষ এই পরাজয়ে রেফারিংয়ের প্রতি অসন্তোষ জানিয়েছেন দলটির কোচ পাওলো ফনসেকা। পর্তুগিজ এই কোচের অভিযোগ, পুরো ম্যাচে তার দলের প্রতি যথেষ্ট সম্মান দেখাননি রেফারি।
“সত্য বলতে আমি ভয় পাই না। রেফারির কাজকে আমি সবসময় সম্মান করি, আমি বুঝতে পারি তাদের কাজটা কঠিন। কিন্তু, প্রতি সপ্তাহে একই ঘটনা ঘটছে।”
“যেভাবে এই সন্ধ্যায় রেফারি ম্যাচ পরিচালনা করেছে, মিলানের প্রতি তার সম্মানের ঘাটতি ছিল।”
উদাহরণ হিসেবে তিনি দৃষ্টিপাত করেছেন প্রতিপক্ষের প্রথম গোলটির দিকে। তার দাবি, চার্ল দে লাফিয়ে ওঠার চেষ্টায় থিও এরনঁদেজকে ধাক্কা দিয়েছিলেন।
“প্রথম গোলটি পরিষ্কার ফাউল ছিল, কোনো সন্দেহ নেই। যেভাবে রেফারি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তা সরাসরি মিলানের বিপক্ষে ছিল, সন্দেহ নেই।”
গোলটির পেছনে অবশ্য নিজেদের রক্ষণের ঘাটতির দায়ও দেখছেন ফনসেকা।
“দিনশেষে ম্যাচটি আমরা দুটি সেট-পিসে হেরে গেছি। প্রথমার্ধ বেশ ভালো ছিল, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের স্ট্রাইকারদের সঙ্গে সংযোগ ছিল না।”
১৪ ম্যাচে ছয় জয় ও চার ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে আছে সবশেষ ২০২১-২২ মৌসুমের লিগ চ্যাম্পিয়নরা।