কোপা আমেরিকা
কোপা আমেরিকার তিক্ত অভিজ্ঞতার পর ২০২৬ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিষয়ে আরও উন্নতি দেখতে চান আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি।
Published : 15 Jul 2024, 05:13 PM
শিরোপা জিতে টুর্নামেন্ট শেষ করার পর ফের যুক্তরাষ্ট্রের মাঠের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন লিওনেল স্কালোনি। সঙ্গে এবার নিরাপত্তা নিয়েও দুর্ভাবনার কথা বললেন আর্জেন্টিনা কোচ। তবে তার আশা, দুই বছর পরের বিশ্বকাপ আয়োজনের সময় এসব বিষয়ে আরও উন্নতি করবে যুক্তরাষ্ট্র।
টিকেটবিহীন দর্শকদের বিশৃঙ্খলায় ফ্লোরিডার হার্ড রক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকালে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৮০ মিনিট দেরিতে শুরু হয় খেলা। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবি, ভিডিওতে দেখা যায়, স্টেডিয়ামের গেট ভেঙে-টপকে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করছেন অতি উৎসাহী দর্শকরা।
অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনায় টিকেটধারী অনেক দর্শক খেলা শুরু হয়ে যাওয়ার পরও মাঠে ঢুকতে পারেননি। যারা কোনোমতে মাঠে ঢোকেন তাদেরও তীব্র গরম ও পানির সমস্যায় ভুগতে হয়। এই ঝামেলা থেকে রেহাই পাননি ফুটবলারদের পরিবারের সদস্যরাও।
পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এক পর্যায়ে ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাইরে যেতে হয়েছিল আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার আলেক্সিস মাক আলিস্তেরকে।
এই ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে প্রচুর। বিভিন্ন ছবি, ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রাথমিক শুশ্রূষা নিচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ কাতরাচ্ছেন পানির জন্য। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায়ও দেখা যায় কয়েকজনকে।
সব মিলিয়ে হ-য-ব-র-ল এক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে। এই ঘটনা ঠিক বুঝতে পারছেন না স্কালোনি। ম্যাচ শেষে তাই বিস্ময় প্রকাশ করেন আর্জেন্টিনা কোচ।
“এটি ব্যাখ্যা করা ও বোঝা কঠিন। এক ঘণ্টার অপেক্ষা। পরিবারের সদস্যরা কোথায় আছে সে সম্পর্কে কিছু না জেনেই আমাদের খেলতে হয়েছে। ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিও দেখছিলাম আমরা। ঠিক কী হচ্ছে, সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত ছিলাম না। আমার মনে হয়, কলম্বিয়ার ফুটবলাররাও একই অবস্থার মধ্যে ছিল। খুবই অদ্ভুত।”
ফাইনালের আগেও প্রশ্নের মুখে পড়েছিল কোপা আমেরিকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কলম্বিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল ম্যাচ হারের পর গ্যালারিতে থাকা পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য ছুটে যেতে হয়েছিল উরুগুয়ের ফুটবলারদের। এসময় কলম্বিয়ার জার্সি পরা দর্শকদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় দারউইন নুনেস, হোসে মারিয়া হিমেনেসদের।
নিরাপত্তা ছাড়াও কোপা আমেরিকার ম্যাচ হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মাঠের মান নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। কানাডার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচের পরই আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামের ঘাস নিয়ে অভিযোগ করেন স্কালোনি। উরুগুয়ে কোচ মার্সেলো বিয়েলসাও সেমি-ফাইনাল ম্যাচের আগে দেন একই ইঙ্গিত।
দুই বছর পর কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্ব আসরের আগে মাঠের সমস্যা নিয়ে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র, আশা স্কালোনির।
“এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আমি বুঝতে পারছি (বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো) ফুটবল মাঠেই হবে। আমেরিকান (সকার) মাঠে নয়। অন্যান্য ভেন্যু ব্যবহার করা হবে। কিন্তু আমার কাছে আর কোনো তথ্য নেই। আমি কল্পনা করি, এটি ভিন্ন হবে। তা-ই হওয়া উচিত। আমরা সবাই সেটিই আশা করি। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা সব অসুবিধা পার করেছি।”