ইউরোপ সেরার মঞ্চে প্রতিটি দল রেয়াল মাদ্রিদকে সম্মান করে বলে মনে করেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
Published : 30 Apr 2024, 12:59 AM
‘রেয়াল মাদ্রিদকে যখনই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দেখবেন, তাদের দুর্দান্ত মানসিকতা ও মান দেখতে পাবেন’- বায়ার্ন মিউনিখের ফুটবলার জসুয়া কিমিখের অভিমত। তার কথার সঙ্গে দ্বিমত করার লোক হয়তো খুব একটা খুঁজে পাওয়া যাবে না। ঘরোয়া অন্যান্য প্রতিযোগিতা যেমনই কাটুক, ইউরোপ সেরার মঞ্চে বরাবরই দেখা মেলে ভিন্ন এক রেয়ালের। কোচ কার্লো আনচেলত্তিও যেমন বললেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রতিটি দল রেয়ালকে সম্মান করে বলেই তার বিশ্বাস।
এবার কোয়ার্টার-ফাইনালে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে এখন সেমি-ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের সামনে রেয়াল।
মাদ্রিদে শেষ আটের প্রথম লেগে ৩-৩ ড্রয়ের পর ম্যানচেস্টারে ফিরতি লেগে বেশিরভাগ সময় আধিপত্য করে সিটি। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ১-১ সমতার পর পেনাল্টি শুটআউটে ৪-৩ ব্যবধানে জেতে আনচেলত্তির দল।
গত মৌসুমের পর রেয়াল ছেড়ে চলে যান তাদের আক্রমণভাগের বড় ভরসা কারিম বেনজেমা। এই মৌসুমের শুরু থেকে একের পর এক ফুটবলার চোটে ছিটকে গেলে অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে ম্যাচের পর ম্যাচ দল সাজাতে হয় আনচেলত্তিকে।
শেষ আটে তারা শক্তিশালী ম্যানচেস্টার সিটির বাধা টপকাতে পারবে, অনেকে হয়তো কল্পনাও করেনি। পেপ গুয়ার্দিওলার দলকেই মনে করা হয়েছিল ফেভারিট। তবে সব অনুমান ভুল প্রমাণ করে সেই লড়াইয়ে জিতে যায় প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই নিয়ে সবশেষ ১৪ আসরের মধ্যে ১২ বারই অন্তত সেমি-ফাইনালে খেলছে রেয়াল। এই সময়ে পাঁচবার ফাইনালে উঠে প্রতিবার শিরোপা উল্লাস করেছে তারা। এসব পরিসংখ্যানেই ফুটে উঠছে এই প্রতিযোগিতায় তাদের আধিপত্য।
আরেকটি ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের প্রথম ধাপে মঙ্গলবার বায়ার্নের মাঠে খেলবে রেয়াল। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি বললেন, প্রচেষ্টা ও নিবেদনের সবটুকু দিয়েই এই পর্যায়ে এসেছেন তারা।
“এই প্রতিযোগিতায় রেয়াল মাদ্রিদকে কখনই অবমূল্যায়ন করা হয় না, কারণ সবাই জানে আমরা কী করতে পারি। আমরা সবার কাছ থেকে সম্মান পাই।”
“এখানে আসতে পেরে আমরা খুশি। সেমি-ফাইনালে খেলার আত্মবিশ্বাস আমাদের আরেকটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে নিয়ে যেতে পারে। এখানে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের প্রচেষ্টা, পরিশ্রম ও নিবেদন দিয়ে আমরা এটি অর্জন করেছি।”