দুটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থের একটি গোলে অবদান রেখেছেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার।
Published : 06 Apr 2024, 07:31 PM
এক ম্যাচের বিশ্রাম পেয়ে যেন আরও তরতাজা ও উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন কেভিন ডে ব্রুইনে। মাঠে নেমে তার প্রমাণও দিলেন তিনি। দুটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থের গোলে রাখলেন অবদান। ক্রিস্টাল প্যালেসকে উড়িয়ে লিগ শিরোপার লড়াইয়ে নিজেদের অবস্থান মজবুত করল ম্যানচেস্টার সিটি।
প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ৪-২ গোলে জিতেছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল। তাদের অন্য দুই গোলদাতা রিকো লুইস ও আর্লিং হলান্ড।
দারুণ এই জয়ে লিগ টেবিলে আপাতত দুইয়ে উঠেছে সিটি। ৩১ ম্যাচে ২১ জয় ও সাত ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৭০। সমান ৭০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এক ম্যাচ কম খেলা লিভারপুল।
তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়া আর্সেনালও একটি ম্যাচ কম খেলেছে, তাদের পয়েন্ট ৬৮।
প্যালেসের বিপক্ষে আসরে প্রথম দেখায় দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও পরে খেই হারিয়ে ২-২ ড্র করেছিল গুয়ার্দিওলার দল।
শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে বাকি আট রাউন্ডে সিটির সামনে কোনোরকম পা হড়কানোর সুযোগ নেই, তাই ঝুঁকি এড়াতে আগের ম্যাচে বিশ্রামে থাকা ডে ব্রুইনে, হলান্ড ও জন স্টোন্সকে ফিরিয়ে শুরুর একাদশ সাজান কোচ।
তবে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি শিরোপাধারীদের, তৃতীয় মিনিটেই যে গোল খেয়ে বসে তারা। সতীর্থের রক্ষণচেরা থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে দারুণ শটে প্যালেসকে এগিয়ে নেন জ্যঁ-ফিলিপ মাতেতা।
গত ডিসেম্বরে সিটির মাঠে ওই ড্র ম্যাচেও দলের প্রথম গোলটি করেছিলেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার।
চমৎকার এক গোলে ১০ মিনিট পরই সমতা টানেন ডে ব্রুইনে। বাঁ দিক দিয়ে বল পায়ে এগিয়ে বাইলাইনের কাছ থেকে দুজনের বাধা এড়িয়ে কটব্যাক করেন জ্যাক গ্রিলিশ। আর বল ধরে বক্সে ঢুকে উঁচু কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার।
উনবিংশ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায় সিটি। ডে ব্রুইনের দারুণ থ্রু পাস ধরে প্রতিপক্ষের একজনকে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকে পড়েন হলান্ড। সামনে তখন একমাত্র বাধা গোলরক্ষক; কিন্তু ওয়ান-অন-ওয়ানে সফল হতে পারেননি নরওয়ের তারকা, তার শট পা বাড়িয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক।
৩৮তম মিনিটে ভাগ্যের জোরে বেঁচে যায় গত তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। ঘানার ফরোয়ার্ড জর্ডান আইয়ুর জোরাল শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও ক্রসবারে বাধা পায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় সিটি। ডি-বক্সে উড়ে আসা একটি ক্রস প্যালেসের ডিফেন্ডাররা ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বল পেয়ে যান লুইস, আট গজ দূর থেকে নিখুঁত শটে দলকে এগিয়ে নেন ১৯ বছর বয়সী ইংলিশ ডিফেন্ডার।
এগিয়ে যাওয়ার পর আরও চাপ বাড়ায় সিটি। ৬৬তম মিনিটে হলান্ডের ব্যবধান বাড়ানো গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও পেয়ে যায় তারা। ডে ব্রুইনের পাস ধরে কাছ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিন ম্যাচ পর জালের দেখা পেলেন হলান্ড। এবারের প্রিমিয়ার লিগে তার গোল হলো ১৯টি।
চার মিনিট পর আবারও প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ায় সিটি। রদ্রির পাস পেয়ে বাঁ পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ডে ব্রুইনে। এতে জয়টাও প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় সফরকারীদের।
শেষ দিকে ফরাসি ফরোয়ার্ড এঁদুয়া একটি গোল শোধ করলেও, তা সিটির জয়ের পথে কোনো বাধা হতে পারেনি।
টানা দুই জয় এবং এই দুই ম্যাচেই প্রতিপক্ষের জালে চারবার করে বল পাঠানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে আগামী মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নামবে গুয়ার্দিওলার দল। সেখানে কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে তারা খেলবে রেয়াল মাদ্রিদের মাঠে।