বিশ্বকাপ বাছাই
পেরুর বিপক্ষে যেকোনো মূল্যে জিততে চান ব্রাজিলের এই নবীন ফরোয়ার্ড।
Published : 11 Oct 2024, 06:04 PM
প্রথমবার ব্রাজিল দলে ডাক পেয়েই শুরুর একাদশে জায়গা করে নেওয়া ইগো জেসুস ছড়িয়েছেন আলো। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে চিলির বিপক্ষে উপহার দিয়েছেন দারুণ গোল। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকে জালের দেখা পাওয়ার আনন্দ তো আছেই, তবে মাটিতে পা রাখছেন তরুণ এই ফরোয়ার্ড। তার সব মনোযোগ এখন পেরু ম্যাচ নিয়ে।
ব্যর্থতার শেকল ভেঙে শুক্রবার সকালে চিলির বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আগের পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হারা দলটি এই ম্যাচেও শুরুতে ছিল ছন্দের খোঁজে। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই তাদের স্তব্ধ করে দিয়ে গোল উল্লাস করেন চিলির এদুয়ার্দো ভার্গাস।
একের পর এক আক্রমণে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের আরও চেপে ধরে চিলি। বল দখলে অনেক এগিয়ে থাকলেও ব্রাজিলের আক্রমণে ছিল না তেমন কোনো ধার। তাই গোল আসছিল না তাদের।
সতীর্থদের বিবর্ণ ফুটবলের মাঝেই আলো ছড়ান জেসুস। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সাভিনিয়োর চমৎকার ক্রসে হেডে জাল খুঁজে নেন বতাফোগোর তরুণ ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জেসুসকে খেলান ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র। আগের দিনই অবশ্য নবীন ফরোয়ার্ডকে নিয়ে ভাগ্য বদলের আশার কথা শোনান তিনি। জেসুসও দিলেন কোচের আস্থার প্রতিদান।
ম্যাচ শেষে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক উপভোগ করার কথা বলেন ২৩ বছর বয়সী জেসুস। একই সঙ্গে বাছাইয়ের পরের ম্যাচ জেতার জন্য মরিয়া থাকার সুর ফুটে ওঠে তার কণ্ঠে।
“মাঠে অবদান রাখতে পারা, গোল করতে পারা, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে পারাটা দারুণ আনন্দের। আমি দলকেও অভিনন্দন জানাতে চাই, যারা সব সময় নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে কারণ পেরুর বিপক্ষে এখন আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে এবং সেটাও আমাদের জিততে হবে, এটি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
আক্রমণাত্মক ফুটবলে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় ব্রাজিল, চেপে ধরে চিলিকে। ৫২তম মিনিটে অফসাইডের জন্য মেলেনি একটি গোল। তবে মরিয়া হয়ে ওঠা পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ৮৯তম মিনিটে দলকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন লুইস এইহিক।
দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে উচ্ছ্বাসিত বতাফোগোর এই উইঙ্গার।
“জয়সূচক গোলটি করতে পেরে আমি খুশি, বতাফোগোর দুই খেলোয়াড় গোল করায় আমরা খুব খুশি। আমি বিশ্বাস করি যে, বতাফোগোর ভক্তরা এখন আমাদের সঙ্গে মুহূর্তটা উপভোগ করছে। তাই আমাদের ভালো খেলা চালিয়ে যেতে হবে কারণ সামনে আরও একটি লড়াই রয়েছে।”
চিলির বিপক্ষে কষ্টের জয়ে এখন চতুর্থ স্থানে ব্রাজিল। ৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৩। সমান ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় আছে আর্জেন্টিনা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে কলম্বিয়া। ৮ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উরুগুয়ে।
পেরুর বিপক্ষে নিজেদের পরের ম্যাচ ব্রাজিল খেলবে আগামী বুধবার।