সালাহ সেরে উঠলেই মিশর দলে যোগ দেবে, বললেন ক্লপ

সালাহর নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলা সমালোচকদের ধুয়ে দিয়েছেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।

চোটের চিকিৎসার জন্য লিভারপুলে ফেরায় অনেকে সমালোচনার তিরে বিদ্ধ করছেন মোহামেদ সালাহকে। আফ্রিকান নেশন্স কাপ মিশনে মিশরের সাথেই অধিনায়কের থাকা উচিত ছিল, মত তাদের। ওই সমালোচনা, সালাহর নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন ওঠা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না ইয়ুর্গেন ক্লপ। লিভারপুল কোচ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতেই সালাহকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

যথাসময়ে সালাহ চোট কাটিয়ে সেরে উঠলে মিশর দলের সঙ্গেও যোগ দেবেন বলেও নিশ্চিত করেছেন ক্লপ।

গত সপ্তাহে নেশন্স কাপে ঘানার বিপক্ষে মিশরের ২-২ ড্র ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান সালাহ। আক্রমণভাগের এই তারকার যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তাকে লিভারপুলে ফিরিয়ে আনা হয়।

লিভারপুলের সহকারী কোচ পেপজিন লিন্ডার্স জানিয়েছেন, যদি নতুন কোনো ঝামেলা না হয়, তাহলে সালাহর সেরে উঠতে তিন থেকে চার সপ্তাহ লাগতে পারে। নেশন্স কাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১১ ফেব্রুয়ারি।

প্রতিযোগিতার রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিশর গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে উঠেছে নকআউট পর্বে। দলটি ফাইনালে উঠলে এবং এই সময়ের মধ্যে সালাহ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে তার জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে একবিন্দু সংশয় নেই ক্লপের।

“সালাহকে নিয়ে মিশর এবং লিভারপুলের স্বার্থ একই। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব সালাহ ফিট হয়ে উঠুক। যদি সে আফ্রিকায় থাকত, তাহলে তারা তার যথাযথ চিকিৎসা দিতে পারত না। এটা স্রেফ সবকিছু বিলম্বিতই করত, বিশেষ করে মিশরের জন্য, যদি টুর্নামেন্টে তারা এগিয়ে যেতে থাকে।”

“তাকে এখানে আনার মানে এই নয় যে, আমরা মিশরের কাছ থেকে তাকে কেড়ে নিতে চাই। এনেছি, যেন তাকে সেরা চিকিৎসা দিতে পারি। এই সিদ্ধান্ত সবার সম্মতিতে হয়েছে। যদি সালাহ ফিট হয়ে ওঠে এবং মিশর ফাইনাল ওঠে, তাহলে এটা পরিষ্কার যে সে ফিরবে; একশভাগ ফিরবে। মো (সালাহ) এটা চায় এবং আমরাও চাই।”

নেশন্স কাপের শেষ ষোলোয় আগামী রোববার মিশর মুখোমুখি হবে কঙ্গোর। অনেক ফুটবল পন্ডিত এবং সাবেকরা মনে করেন, এ মুহূর্তে দলের সঙ্গে থাকা উচিত ছিল সালাহর।

এই সমালোচকদেরও ধুয়ে দিয়েছেন ক্লপ। ফুলহ্যামকে হারিয়ে লিগ কাপের ফাইনালে ওঠার পর বিন স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপচারিতায় লিভারপুল কোচ সালাহর নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলা ব্যক্তিদের ধুয়ে দিলেন।

“যদি কেউ সালাহর নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তাদের উচিত নিজেদের নিবেদনটই ঠিক আছে কিনা, সেটা দেখা। কেননা, আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে দল অন্তপ্রাণ মিশরীয় নিশ্চতভাবেই সে।”