পয়েন্ট সমান হওয়ায় বাইলজ অনুযায়ী শিরোপার জন্য প্লে-অফ খেলতে হবে মেরিনার্স ও আবাহনীর।
Published : 19 Apr 2024, 09:29 PM
মাঝেমাঝেই মাথাচাড়া দিচ্ছিল বিতর্ক। তবে সবচেয়ে বড় বিতর্ক যেন তোলা ছিল শেষ দিনটার জন্য। যেদিন নির্ধারিত হয়ে যেতে পারত প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন, সেদিন টুর্নামেন্ট নিল নতুন বাঁক। মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচের অনাকাঙ্ক্ষিত কাণ্ডে ঝুলে গেল শিরোপা নিষ্পত্তি। বাইলজ অনুযায়ীই সেটা নিরসন করতে উদ্যোগ নিয়েছে হকি ফেডারেশন।
মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে শুক্রবার দিনের শুরুতে বাংলাদেশ পুলিশকে ৪-২ গোলে হারায় শিরোপাধারী মেরিনার ইয়াংস। এরপর মুখোমুখি হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান ও আবাহনী। ৩-২ গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি জানিয়ে খেলতে অস্বীকৃতি জানায় মোহামেডান। বাইলজ অনুযায়ী ৩০ মিনিট অপেক্ষার পর মোহামেডান মাঠে না ফেরায় আবাহনীকে জয়ী ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।
তাতে ১৫ ম্যাচে সমান ৩৭ করে পয়েন্ট আবাহনী ও মেরিনার্সের। বাইলজ অনুযায়ী দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে প্লে-অফ ম্যাচে শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা বলে জানান হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক সাঈদ।
“মোহামেডান খেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় আম্পায়াররা বাইলজ অনুযায়ী আবাহনীকে জয়ী ঘোষণা করেছেন। এখনও তাদের প্রতিবেদন আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। দুই দলের পয়েন্ট সমান হওয়ায় আমরা এখন আবাহনী ও মেরিনার্সকে প্লে-অফ খেলার জন্য চিঠি দেব। এর বাইরে যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেটা মিটিংয়ে নেওয়া হবে।”
আবাহনীর উপদেষ্টা কোচ মাহবুব হারুন অবশ্য মাঠেই বলেন, “বাইলজ অনুযায়ী আমরা প্লে-অফ খেলতে চাই।” মেরিনার্স সাধারণ সম্পাদক হাসানউল্লাহ খান রানা বল ঠেলে দিলেন ফেডারেশনের কোর্টে।
“বাইলজ অনুযায়ী প্লে-অফ খেলতে হবে, সেটা মেনে নিয়েই আমরা লিগ খেলছি। এখন ফেডারেশন প্লে-অফ খেলার সিদ্ধান্ত দিলে আমরা খেলব। এর বাইরে যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয়, মিটিং করেই নেব।”
অথচ ওই পর্যায়ে যাওয়ার আগেই নিষ্পত্তি হয়ে যেতে পারত সবকিছু। মোহামেডানের সামনে সুযোগ ছিল ২০১৮ সালে হারানো লিগের মুকুট ফিরে পাওয়ার। কিন্তু তৃতীয় কোয়ার্টারের শেষ দিকের কাণ্ডে পণ্ড হয়ে গেল সবকিছু।
৪৩তম মিনিটে হঠাৎই মোহামেডানের সার্কেলে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি। বাহাসের শুরু করা আবাহনীর আফফান ও মোহামেডানের জুল বিন মিজুনকে হলুদ কার্ড দেন আম্পায়ার। মোহামেডানের দ্বীন ইসলাম ইমন ও তানভির রহমান সিয়াম এবং আবাহনীর নাঈম উদ্দিনকে দেন লাল কার্ড। এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে মাঠ ছাড়া মোহামেডান শেষ পর্যন্ত মাঠে ফিরতে আর রাজি হয়নি।
খেলতে অস্বীকৃতি জানানো নিয়ে মোহামেডান কোচ শহীদুল্লাহ টিটু তুলে ধরেন ওই দুই লাল কার্ডের প্রসঙ্গ, “আমরা চেয়েছিলাম লাল কার্ডের বিষয়টি আবারও রিভিউ করা হোক, কিন্তু সেটা করা হয়নি। আমাদের কাছে যে ভিডিও আছে, ওদের মিমো (পুস্কর ক্ষীসা) আমাদের একজনকে আঘাত করেছে, কিন্তু তাকে কোনো কার্ড দেওয়া হয়নি। এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।”
নিজেদের আনন্দ উৎসব নিয়ে মোহামেডান কোচ বলেন, “লিগে আমরা শুরু থেকে ভালো খেলেছি। আজকে আবাহনীকে পিছিয়ে পড়ে তিন গোল দিয়েছি, তাই উৎসব করছি।”