বেলজিয়াম জাতীয় দলের চিকিৎসকের বিশ্বাস, চোট গুরুতর নয় ইন্টার মিলান স্ট্রাইকারের।
Published : 01 Nov 2022, 03:07 PM
হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যা কাটিয়ে ফিরে মাত্র দুই ম্যাচ খেলে একই চোটে আবার মাঠের বাইরে চলে গেছেন রোমেলু লুকাকু৷ তাই বিশ্বকাপে বেলজিয়ান তারকার অংশগ্রহণও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। দলটির চিকিৎসক অবশ্য সময়ের আগেই ইন্টার মিলান স্ট্রাইকারের সেরে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী।
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে মৌসুমের শুরু থেকেই ভুগছেন লুকাকু। এই কারণে উয়েফা নেশন্স লিগের চলতি আসরে বেলজিয়ামের ছয়টি ম্যাচের পাঁচটিতে খেলতে পারেননি তিনি।
চোট কাঠিয়ে দুই মাস পর মাঠে ফিরে লুকাকু চলতি মাসে খেলেন দুটি ম্যাচ, একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ও একটি সেরি আয়। দুটি ম্যাচেই বদলি হিসেবে নামেন তিনি। ইউরোপ সেরার মঞ্চে ভিক্তোরিয়া প্লাজেনের বিপক্ষে ৪-১ গোলে জয়ের ম্যাচে জালের দেখাও পান তিনি।
ইতালির শীর্ষ লিগে গত রোববার সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে ইন্টারের ৩-০ গোলে জয়ের ম্যাচেও তাকে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে খেলানো হয়। ওই ম্যাচের পর জানা যায়, আবারও হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের শিকার হয়েছেন চেলসি থেকে ধারে ইন্টারে খেলা লুকাকু। তিনি কবে ফিরতে পারবেন, এই ব্যাপারে ক্লাবের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।
আসছে বৈশ্বিক আসরে 'বি' গ্রুপে থাকা বেলজিয়ামের কাতার বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে আগামী ২৭ নভেম্বর, কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এই গ্রুপের অন্য দুই দল ক্রোয়েশিয়া ও মরক্কো।
সময়ের আগে লুকাকু সেরে না উঠলে বেলজিয়ামের জন্য তা হবে বড় ধাক্কা। দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলস্কোরার এভারটনের সাবেক এই ফুটবলার (১০২ ম্যাচে ৬৮ গোল)।
বেলজিয়াম জাতীয় দলের চিকিৎসক ক্রিস্তফ সাস শোনালেন আশার বাণী। গত সোমবার ডাচ সংবাদমাধ্যম এইচএলএনকে তিনি বলেন, লুকাকুর চোট খুব গুরুতর নয়।
“এটি এখনও তাকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দেওয়ার মতো কিছু নয়। তবে এই চোট খেলোয়াড়ের নিজের, তার ক্লাব ও রেড ডেভিলস (বেলজিয়াম জাতীয় দলের) জন্য একটা ধাক্কা।”
আসছে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত স্কোয়াড জমা দেওয়ার জন্য দলগুলোর শেষ সময় আগামী ১৪ নভেম্বর।
সম্প্রতি বেলজিয়াম সংবাদমাধ্যম নিউজব্লাদ-এ দেশটির কোচ রবের্তো মার্তিনেস বলেন, তার দলে লুকাকু আর্জেন্টিনা দলে লিওনেল মেসির মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
“রেড ডেভিলসে তার বিকল্প নেই। প্রতিটি জাতীয় দলে এমন খেলোয়াড় আছে যার কোনো বিকল্প নেই। আর্জেন্টিনা দলে যেমন (লিওনেল) মেসি, ক্রোয়েশিয়ায় (লুকা) মদ্রিচ, (মার্সেলো) ব্রজোভিচ ও (মাতেও) কোভাচিচের দিকে তাকান, স্পেন ও জার্মানিতেও এমন খেলোয়াড় রয়েছে। বিষয়টা এমনই।”
“আমাদের দলে এমন খেলোয়াড় হলো (থিবো) কোর্তোয়া, (কেভিন) ডে ব্রুইনে ও (রোমেলু) লুকাকু। তাদের কারোরই বদলি পাওয়া সম্ভব না৷ তারা যদি না খেলে, তাহলে আমাদের ভিন্নভাবে খেলতে হবে। লুকাকু না থাকলে আমাদের হয়তো আক্রমণে আরও বেশি খেলোয়াড় নিয়ে খেলা উচিত।”