সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ
সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে এবারের অভিযানে বাংলাদেশ কোচ ও অধিনায়ক এগোতে চান ধাপে ধাপে।
Published : 17 Sep 2024, 08:03 PM
গতবার যাদের কাছে হেরে ভেঙেছিল শিরোপা স্বপ্ন, এবারের সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে সেই ভারতের বিপক্ষেই প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আপাতত তাই ফাইনাল খেলা, শিরোপা জয়ের ভাবনা থেকে একটু দূরে থাকতে চান কোচ সাইফুল বারী টিটু ও অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল। দুজনেই বাড়তি মনোযোগ দিতে চান ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে।
ভুটানের চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামের টার্ফে আগামী শুক্রবার শুরু হবে বয়সভিত্তিক এই প্রতিযোগিতাটি। গতবার এ আসর বসেছিল অনূর্ব-১৬ বছর বয়সীদের নিয়ে; ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।
এবার উদ্বোধনী দিনে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ; আগামী মঙ্গলবার মালদ্বীপের বিপক্ষে লড়বে দল। তিন দলের গ্রুপে প্রথম ম্যাচ জিতলে সেমি-ফাইনালে এক পা রাখার সুযোগ কাজে লাগাতে চান অধিনায়ক নাজমুল।
“আপনারা জানেন, ২০২৩ সালে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৬ দলের কাছে হেরে আমরা ওই টুর্নামেন্টে রানার্সআপ হয়েছিলাম। কিন্তু এবার… আমাদের কোচ আমাদের দুর্বলতা কোথায়, কোন দিকে শক্তি এগুলো নিয়ে কাজ করেছেন, আমরাও মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।”
“আমাদের প্রথম ম্যাচ যেহেতু ভারতের সাথে, সেহেতু প্রথম ম্যাচে ভালো একটা ফল করে যেন মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলতে পারি। প্রথম ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এটা জিতলে সেমি-ফাইনাল খেলা মোটামুটি নিশ্চিত। তাই আমরা প্রথম ম্যাচ নিয়ে ভাবছিল। মালদ্বীপের বিপক্ষে পরের ম্যাচ নিয়ে পরে ভাবা যাবে।”
এই টুর্নামেন্টে সামনে রেখে ভারত প্রস্তুতি নিয়েছে আটঘাট বেঁধে। ইন্দোনেশিয়াতে প্রস্তুতি নেওয়ার পর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভুটানের উচ্চতার সাথে মানিয়ে নিতে অনুশীলন করেছে লাদাখে।
নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট বাংলাদেশ কোচ টিটুও। চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামের টার্ফের সাথে মানিয়ে নিতে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে অনুশীলন করিয়েছেন। ভুটানের উচ্চতার সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা শুরু হবে বুধবার দেশটিতে পৌঁছানোর পর।
গত প্রতিযোগিতাটি অনূর্ধ্ব-১৬ হওয়ায় এবারের অনূর্ধ্ব-১৭ আসরে দলগুলোর খেলোয়াড়দের মধ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে টিটুও এ প্রসঙ্গ পেড়ে বললেন, ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের ফল ঠিক করে দেবে সামনের পথচলা।
“প্রস্তুতি বলতে, ২০ তারিখে (অগাস্টে) আমরা অনুশীলন শুরু করি ঢাকাতে। তারপর ১ তারিখে চলে যাই বিকেএসপি। মোটামুটি ৪ সপ্তাহের কাছাকাছি অনুশীলন করেছি। গ্রুপিংটা আমরা আগে থেকেই জানি, মূল বিষয়টা হচ্ছে, এই দলটা গতবার ফাইনাল খেলেছিল, ভারতের বিপক্ষে হেরেছিল, এবারও ভারতের সাথেই প্রথম ম্যাচ, তো আমার মনে হয়, দ্রুতই আমরা জেনে যাবো গ্রুপের প্রথম ম্যাচে কার শক্তি কোন পর্যায়ে।”
“ওই হিসেবে আমরা ভারতের এই দলটার খেলাই অনুসরণ করেছি, কেননা, ধরে নিচ্ছি, ওদের অনূর্ধ্ব-১৬ দলটাই এবার অনূর্ধ্ব-১৭। আমাদের দলের অধিকাংশই খেলোয়াড়ও আগের দলের। নিকট অতীতেই আমরা সাফে (অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ) চ্যাম্পিয়ন হলাম, মেয়েদের দিকেও যদি তাকাই, আমরা সাফে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, বয়সভিত্তিকেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তো আমরা চাই, সাফের প্রতিযোগিতাগুলোয় চ্যাম্পিয়ন হতে।”