ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর জের টানতে হতে পারে চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকেও।
Published : 27 Jul 2024, 01:28 AM
টিএডি গ্রুপের কারখানাগুলোতে প্রতিদিন তিন লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ পোশাক উৎপাদন হয়। প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৭০ লাখ পোশাক তারা আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করে। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নজিরবিহীন নৈরাজ্যের পর কারফিউ জারি হলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
কারফিউ শিথিল হওয়ার পর মঙ্গলবার থেকে আবার কাজ শুরু করেছে টিএডি গ্রুপের কারখানাগুলো। কিন্তু চার দিন কারখানা বন্ধ থাকার জের কতদিন টানতে হবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশিকুর রহমান তুহিন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “কারখানা বন্ধ থাকায় চার দিনে আমরা প্রায় ১৪ লাখ পোশাক উৎপাদন করতে পারিনি। এখন পণ্য পাঠাতে দেরি হলে অনেক ক্রেতা ক্রয়াদেশ বাতিল করতে পারে। আবার কোনো কোনো ক্রেতা আকাশপথেও পাঠাতে বলতে পারে। তখন খরচ অনেক বেড়ে যাবে।”
এই সংকট তুহিনের একার নয়। দেশে প্রায় ২ হাজার ৮০০ পোশাক কারখানা আছে, যারা সরাসরি পোশাক রপ্তানির সঙ্গে জড়িত। তাদের সবাই এখন উদ্বেগের মধ্যে পড়েছে।
বাংলাদেশ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি থেকে আয় করে ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে পোশাক রপ্তানি থেকে আসে ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার, যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। সংঘাত আর নৈরাজ্যের পর কারফিউয়ের মধ্যে দেশের ব্যাংকিং চ্যানেল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বড় আঘাত এসেছে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের সবচেয়ে বড় এ খাতেই।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কারফিউ শিথিল ও ইন্টারনেট ফেরার পর উৎপাদন স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও পরিস্থিতি আগের মত হতে দুই-তিন মাস সময় লেগে যেতে পারে। এমনকি এর জের টানতে হতে পারে চলতি অর্থবছরের তৃতীয় (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৫) প্রান্তিকেও।
টিএডি গ্রুপের এমডি তুহিন বলেন, “সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সচল হওয়ায় বুধবার থেকে আমরা যোগাযোগ শুরু করছি। আশঙ্কা করছি, কিছু পণ্য পাঠাতে এয়ার ফ্রেইট করার প্রয়োজন হতে পারে। তা না হলে শীতের শেষ দিকের মৌসুম পুরোপুরি মিস করতে হবে।”
ক্ষতি কতটা
কোনা সংস্কার আন্দোলন সহিংসত রূপ পাওয়ার পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকেই পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল, ১৮ জুলাই সংঘাত মারাত্মক রূপ নিলে অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। সেদিন রাত থেকে বন্ধ হয়ে যায় ব্র্যাডব্যান্ড ইন্টারনেট, মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল আগেই।
১৯ জুলাই মধ্যরাত থেকে কারফিউ জারি হলে সারা দেশে সেনা নামানো হয়। বন্ধ হয়ে যায় কল কারখানার উৎপাদন। পরিবহন বন্ধ থাকায় কারখানা থেকে বন্দরে চালান পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। এ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগে বন্দরে যেসব রপ্তানি পণ্য পৌঁছেছিল, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় সেগুলোর শিপমেন্ট আটকে যায়।
একই কারণে শিল্পের জন্য আমদানি করা কাঁচামাল বন্দর থেকে ছাড় হচ্ছিল না। মঙ্গলবার রাতে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালুর পর এবং নিরাপত্তা প্রহরায় আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন শুরুর পর বুধবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, বন্দর কার্যক্রম এবং কারখানা বন্ধ থাকায় এ খাতে প্রতিদিনের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ এক হাজার ৬০০ কোটি টাকার মত।
আর বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, আন্দোলন ঘিরে অচলাবস্থার দিনগুলোতে এ খাতে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে।
একই ধরনের তথ্য দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি- এবিসিসিআইর সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জাম হোসেনও।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে এলসি খোলা তো বন্ধ ছিলই, সঙ্গে গার্মেন্ট কারখানাগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছিল। তাতে উৎপাদনে ব্যাহত হয়েছে। এখন ক্ষতি পোষাতে ছুটির দিনগুলোতেও কারখানা সচল রাখতে হবে।”
উড়োজাহাজে পণ্য পাঠাতে বাড়বে খরচ
বিজিএমইএ এর তথ্য অনুযায়ী, পোশাক খাতে গড়ে প্রতি মাসে ৪৫০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। এ হিসাবে প্রতিদিন রপ্তানির পরিমাণ ১৫ কোটি ডলার বা এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
সহিংসতা-কারফিউয়ের কারণে সময়মত যেসব পণ্যের জাহাজীকরণ (শিপমেন্ট) সম্ভব হয়নি, এখন সেসব পণ্য আকাশপথে পাঠাতে গেলে ১০ লাখ ডলার ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন একজন ব্যবসায়ী।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আগে পাঁচ-সাত দিন দেরি করা যেত। কিন্তু বিভিন্ন কারণে প্রতিনিয়ত আমাদের দেশ থেকে একই সমস্যা হওয়ায় তারা এখন মানতে নারাজ। তারা এয়ার চার্জ করবে। এক মিলিয়ন ডলার বাড়তি খরচ হবে। এটা অনেক।”
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এবিসিসিআই সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জাম বলেন, “সাধারণ ছুটির কারণে অর্ডার করা পণ্য শিপমেন্ট করা সম্ভব হয়নি। এখন দুটো উপায় রয়েছে। ১০-১৫ শতাংশ ছাড় দিয়ে পণ্য রপ্তানি করতে হবে। আরেকটা হল, উড়োজাহাজে রপ্তানি করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে খরচ অনেক বেড়ে যাবে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।”
বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, “ব্যবসা কার্যক্রমের সার্বিক চিত্র বাইরের দেশগুলো পর্যালোচনা করে। তাই দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি যদি না হয় সেটাই হচ্ছে আসল বিষয়।”
তিনি বলেন, “উড়োজাহাজে পাঠানো লাগলে তাতে স্বল্পমেয়াদি ক্ষতি হবে ব্যবসায়ীদের, এ কথা ঠিক। তবে দীর্ঘমেয়াদি কোনো প্রভাব আসবে কিনা সেটা জানা জরুরি।”
এলসি জটিলতা
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, তিনি এক লাখ ডলারের আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার জন্য গত ১৮ জুলাই একটি বেসরকারি ব্যাংকে আবেদন করেন। কিন্তু ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত হওয়ার কারণে এবং ব্যাংক বন্ধ থাকায় এলসি খুলতে ২৫ জুলাই লেগে যায়।
হাতেম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরডটকমকে বলেন, “এই সংকট ছাড়াই তো ব্যাংক এলসি খুলতে গড়িমসি করে। তার মধ্যে এলসি খুলতে আরও বিলম্ব হল। তাতে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে।”
বুধবার ব্যাংক খুললেও আমদানির এলসি খোলা হয় কম। তবে বৃহস্পতিবার থেকে ব্যাংকগুলোতে এলসি খোলার গতি বাড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে দিনে প্রায় ৪০০-৫০০ মিলিয়ন ডলারের সরকারি এলসি খোলা হয়। তবে ব্যাংক টানা বন্ধ থাকার কারণে বকেয়া ঋণপত্রের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০-৪০ মিলিয়ন ডলার। বকেয়া এলসি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই নিষ্পত্তি করা হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের (এমটিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টেফোর ডটকমকে বলেন, “এই কয়দিন ব্যাংক বন্ধ ছিল। ফলে এলসি খোলা সম্ভব হয়নি। এলসি কত কমল এই কয়দিনে, এটা মাস শেষ হলে বলা যাবে। তবে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়েছে।”
তিনি বলেন, “বুধবার থেকে ব্যাংকগুলো এলসি খুলছে। তবে এলসি খোলার চাপ আগের চেয়ে কম।”
’আসল ক্ষতি’ সামনে
নৈরাজ্য ও কারফিউয়ের কয়েক দিনে ক্ষতির যেসব তথ্য আসছে, সে হিসাব সেখানে থামবে বলে মনে করছেন না পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ’আসল’ ক্ষতি স্পষ্ট হতে পারে চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে। ওই সময়টায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতে ছুটি ও ভ্রমণের আমেজ থাকায় তখন বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ভালো বিক্রি হয়।
ওই সময়ের পণ্যের অর্ডার পেতে বাংলাদেশের মত ভারত, চীন ও ভিয়েতনাম এখন নমুনা পাঠাচ্ছে। সেসব পৌঁছাতে হবে অগাস্টের ছুটির আগে। কিন্তু গত কয়েক দিন কারখানা, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেকেই নমুনা পাঠাতে সমস্যায় পড়েছেন বা পিছিয়ে পড়েছেন।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, ইন্টারনেট ও যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বিদেশি ক্রেতাদের ‘আস্থার’ যে সংকট হয়েছে, তার মাশুল গুনতে হবে বাংলাদেশকে। এর জেরে জানুয়ারি-মার্চ সময়ে ২০ শতাংশ রপ্তানি কমে যেতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।
ইন্টারনেট বন্ধ থাকায়, ক্রেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতে না পারায় তৃতীয় প্রান্তিকের ওই সময়টায় প্রতি মাসে ৬০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হারানোর আশঙ্কা করছে স্পারো গ্রুপ। পৃথিবীর ২০টি দেশের ৪০টি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে পোশাক রপ্তানি করে তারা।
এ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ডিসেম্বরের ২৫ তারিখ থেকে মার্চের ৩০ তারিখ আমার সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়। ওই সময় আমরা মাসে গড়ে ২৭০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি করি। কিন্তু মনে হচ্ছে, এবার আমাদের ৬০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হবে প্রতি মাসে।”
ফতুল্লা অ্যাপারেলসের মালিক ফজলে শামীম এহসানও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এই সময়টায় নমুনা পাঠানোর কাজ চলে। অগাস্ট হলিডের আগেই পোঁছাতে হবে। কিন্তু অনেকেই সময়মত পাঠাতে পারবে না।
”ইন্ডিয়া, ভিয়েতনাম ও চায়নাও পাঠাচ্ছে। ক্রেতারা তো আর বসে থাকবে না। অনেককেই এয়ারে পাঠাতে হবে। এর আর্থিক ক্ষতি অনেক বড়।”
তিনি বলেন, তার প্রতিষ্ঠানের মাসে রপ্তানি হয় প্রায় এক মিলিয়ন ডলারের। এবার তাতে ধাক্কা খেতে হতে পারে।
’ভাবমূর্তির’ সংকট
বিজিএমইএ পরিচালক শোভন ইসলাম এর ভাষ্যে, ”আমার ক্রেতারা সফিসটিকেটেড। এখন সবকিছু অটোমেটেড। উৎপাদন প্রকিয়া থেকে সব তারা সেখানে বসে সব দেখে, জানতে পারে। কিন্তু ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় তারা কিছুই জানতে পারে নাই। এক ছিল মোবাইল। কিন্তু এটা অ্যানালগ যুগের টু জি। ফোনে কথাও বোঝা যায়নি।
“বুধবার ইন্টারনেট সীমিত পরিসরে এসেছে। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপে কল হয় না। আমরা জুমে কথা বলছি। কনফারেন্স করছি। কিন্তু তারা আস্থা পাচ্ছে না। এত কিছুর পর তারা আর পরবর্তীতে ঝুঁকি নিতে চায় না। তাদের এখনও কনভিন্স করতে পারছি না।”
শোভন ইসলাম বলেন, ”আমাদের ইমেজের অপূরণীয় ক্ষতি হল। ভাবমূর্তি অনেক খারাপ হয়ে গেল।”
বিজিএমইএ এর সভাপতি এস এম মান্নান কচিও একই সুরে কথা বললেন। তার ভাষায়, “আমাদের প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা ও নির্ভরতায় ঘাটতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।”
ঘুরে দাঁড়াবে কীভাবে?
বুধবার সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট পরিষেবার সাথে কাস্টমস হাউজের বিকল্প সেবায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৬ হাজার ৭১৮টি রপ্তানি চালানের নথি শুল্কায়নের জন্য সার্ভারে জমা পড়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, গত বছর সারা দেশের ৪৩টি শুল্ক স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৬ হাজার পণ্যের চালান রপ্তানি হয়েছে।
এনবিআরের একজন সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "সকল কাস্টম হাউজে আমরা ফুল সুইংয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছি। বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ায় অ্যাসেসমেন্ট ও শুল্কায়নে কোথাও সমস্যা হচ্ছে না।"
কিন্তু ক্ষতি যা হয়েছে, তা সহজে পোষানো যাবে বলে মনে করছেন না বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এ ক্ষতি থেকে উত্তরণ অত্যন্ত কঠিন। একটা ঘটনার স্বল্প মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাব থাকে। টানা ছয়দিন বন্ধ থাকার কারণে স্বল্প মেয়াদি ক্ষতির পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদি একটা প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি।”
আর এবিসিসিআইয়ের সৈয়দ মোয়াজ্জাম হোসেন বলেন, “এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে বেগ পেতে হবে। ক্ষতি থেকে বের হয়ে আসার জন্য সামনের দিনগুলোতে শ্রমিকদের শুক্রবার কাজ করতে হবে।”