চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে কর্মচারীরা। তিন ঘণ্টা পর গেইট ভেঙে তাকে উদ্ধার করা হয়।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে স্মারকলিপি দেওয়ার পর ১৩৪ জন দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারী কক্ষের সামনে কলাপ্সিবল গেইটে তালা দিয়ে উপাচার্য একিউএম মাহবুবকে অবরুদ্ধে করেন।
৩ ঘণ্টা তালাবদ্ধ করে রাখার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী কর্মচারীরা গেইট ভেঙে তাকে উদ্ধার করেন।
পরে দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীরা ভবনের করিডোরে শুয়ে পড়ে নানা শ্লোগান দেন। কিন্তু উপাচার্য তাদের সঙ্গে কোনো কথা না বলেই বেরিয়ে যান।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের মেয়াদে বিভিন্ন কাজের জন্য দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ১৫২ জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৮ জনকে স্থায়ীকরণ করা হয়। পরে বাকি ১৩৪ কর্মচারী চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি পালন হয়ে আসছে। তখন বর্তমান উপাচার্য এসব কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ঝাড়ুদার রিক্তা বেগম বলেন, “বর্তমান ভিসির মেয়াদ ২ বছর ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও মাত্র ১৮ জনের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়েছে। আমরা বাকি ১৩৪ জন পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। আমরা চাই, একটি নিয়োগের মাধ্যমে আমাদের চাকরি স্থায়ী করা হোক।”
বিশ্ববিদ্যালয়টির নিরাপত্তাকর্মী মোহাম্মদ আলী বলেন, “আমরা দীর্ঘ ৭/৮ বছর দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কাজ করে আসছি। বিভিন্ন সময় চাকরি স্থায়ীকরণে আশ্বাস দেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি। এই উপাচার্য আসার পর মাত্র ১৮ জনের চাকরি স্থায়ী করা হয়েছে। এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে আমরা খেয়ে না খেয়ে জীবন-যাপন করছি। আমরা চাই. অনতিবিলম্বে আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হোক।”