দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম ই-পাসপোর্ট প্রকল্পে গিয়েছে বলে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান।
Published : 21 Nov 2022, 08:52 PM
প্রায় ১২শ জনবল নিয়ে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মানবসম্পদ, ব্যবস্থাপনা ও অর্থ) উম্মে সালমা তানজিয়া।
সোমবার সকালে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ১১৮৪ জন জনবল নিয়ে ১৮ কোটি মানুষের সেবা দিচ্ছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। এর মধ্যে বাংলাদেশে ৭২টি অফিস এবং প্রবাসে ৮০টি দূতাবাস অফিস রয়েছে।
“স্বল্প জনবল নিয়েও আমরা সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছি; সকলের সহযোগিতায় সুনাম বৃদ্ধি করতে চাচ্ছি,” বলেন তিনি।
উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম পাসপোর্ট বিভাগ নিয়ে ভেবেছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সালে পাসপোর্ট অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিভাগ নিয়ে ভাবছেন। তিনি এই বিভাগের আধুনিকায়নের লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
“দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই প্রথম ই-পাসপোর্ট প্রকল্পে গিয়েছে,” উল্লেখ করে উম্মে সালমা বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ সাহস করেনি ই-পাসপোর্টে যাওয়ার, শেখ হাসিনা সেই সাহস দেখিয়েছেন।”
ডিজিটাল বাংলাদশ হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ; এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পাসপোর্ট প্রাপ্তিও নিশ্চিত করার উদ্যাগ নিয়েছে সরকার, বলেন উম্মে সালমা।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় পাসপোর্ট নিয়ে জনদুর্ভোগ, দালালের দৌরাত্ম্য, বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে হয়রানি নিরসনে বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসরাত সাদমীন, সদ্য পদোন্নতি পাওয়া পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা, সাংবাদিক আলমগীর ইউসুফ, মনিরুজ্জামান চৌধুরী ও আবু নাছের মঞ্জুসহ জেলা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিগণ তাদের মতামত তুলে ধরেন।