বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ১১ জন পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনে সফরের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা এবং তাদের অভিজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পাবেন।
Published : 09 Oct 2023, 10:28 PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সকালে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এ সময় তিনি মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত যাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই ট্রেন সফরে সঙ্গী হবেন ফরিদপুরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ১১ জন; যাদের মধ্যে গার্মেন্ট কর্মী, হকার, বাসচালক থেকে শুরু করে স্কুলের খুদে শিক্ষার্থী রয়েছেন।
তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন। শেখ হাসিনা তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রতিক্রিয়া শুনবেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, “ফরিদপুর সফরের সিদ্ধান্তের পরপরই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন পেশার একজন করে মোট ১১ জনের তালিকা তৈরি করতে।
“এই ১১ জন ঢাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সঙ্গী হবেন। তারা পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের কথা শুনবেন।”
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সভাপতি আমিনুর রহমান ফরিদ, সবজি বিক্রেতা হেলাল উদ্দিন, গার্মেন্ট কর্মী রেখা বেগম, হকার রহিম শেখ, বাসের চালক সুলতান আহমেদ, খ্রিস্টান মিশনের পালক সাথী চক্রবর্তী, আদর্শ পেঁয়াজ বীজ চাষি সাহিদা বেগম, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী স্বর্ণজিৎ ঘোষ, নুসরাত জাহান এবং মাদরাসা শিক্ষার্থী জান্নতুল ফেরদাউস।
মঙ্গলবার সকালেই বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হওয়ার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তৈরি পোশাক কর্মী রেখা বেগম বলেন, “আমি সামান্য, খুব নগণ্য একজন নারী। আমি কিভাবে এই সুযোগ পেলাম জানি না। মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। তিনি যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘ জীবন দান করেন।”
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ফরিদপুরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান ফরিদ বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ করেছি, দেশ স্বাধীনের পর যে অনুভূতি ছিল, ঠিক তেমন অনুভূতি হচ্ছে। প্রথমবারের মত পদ্মা সেতুতে ট্রেনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাড়ি দেব। ভাবতেই ভাল লাগছে।”