দাওয়াতপত্রে নিচে নাম, শিক্ষককে আওয়ামী লীগ নেতার মারধরের অভিযোগ

একটি মাহফিলের দাওয়াতপত্র ও পোস্টারে অতিথি গোলাম রসুলের নাম অন্য নেতাদের নিচে ছাপানো হয়েছে৷

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2023, 06:21 PM
Updated : 19 Feb 2023, 06:21 PM

নারায়ণগঞ্জে দাওয়াতপত্রের অতিথির তালিকায় নাম নিচে লেখায় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে৷

‘মারধরের শিকার’ আবুল কালাম কাঞ্চনের ছাত্তার জুট মিলস আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

আবুল কালাম বলেন, রোববার দুপুরে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভা বাজারে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রসুল কলি তার লোকজনকে নিয়ে তাকে পিটিয়েছেন৷ স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় প্রথমে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান৷ পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন৷

গোলাম রসুল কলি কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক৷

আবুল কালাম বলেন, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলার হাটাবো এলাকায় একটি ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী৷ মাহফিলে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে প্রধান অতিথি এবং কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র ও পৌর যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামকে উদ্বোধক করা হয়েছে। মাহফিল উপলক্ষে ছাপানো দাওয়াতপত্র ও পোস্টারে বিশেষ অতিথি হিসেবে গোলাম রসুলের নাম রয়েছে৷

আয়োজক হিসেবে স্থানীয় কাউন্সিলরকে সাথে নিয়ে রোববার দুপুরে গোলাম রসুলের বাড়িতে মাহফিলের দাওয়াতপত্র নিয়ে গেলে নিজের নাম অতিথির তালিকায় নিচে এবং ছোট হরফে লেখার হয়েছে উল্লেখ করে আয়োজকদের গালাগালি করেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষক আবুল কালাম৷

ওই শিক্ষক আরও বলেন, “তার বাড়ি থেকে ফেরার পর কাঞ্চন বাজারে চায়ের দোকানে লোকজন নিয়ে গোলাম রসুল লাঠিসোটা দিয়ে আমাকে বেধরক পেটান৷ মারধরের পর তিনি বলেন, আমরা তাকে অপমান করেছি। দাওয়াতপত্র ও পোস্টার ঠিক করে আমরা যেন তার কাছে নিয়ে যাই।”

এ ঘটনায় সন্ধ্যায় ওই শিক্ষক রূপগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান৷

মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে গোলাম রসুল কলি বলেন, তার এক সমর্থকের সঙ্গে ওই শিক্ষকের কথা কাটাকাটি হয়েছে৷ পরে একটু হাতাহাতিও হয়৷ পরে তিনি ঘটনার মীমাংসা করে দেন৷

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, গোলাম রসুল কলির সঙ্গে পৌর মেয়র রফিকুল ইসলামের দ্বন্দ্ব পুরনো৷ দ্বন্দ্বের জেরে দুপক্ষের মধ্যে একাধিকবার গুলি বিনিময়ের ঘটনাও ঘটেছে৷ দাওয়াতপত্রে প্রতিপক্ষের নাম উপরে রাখাতেই ক্ষুব্ধ গোলাম রসুল কলি৷

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (রূপগঞ্জ-আড়াইহাজার সার্কেল) আবির হোসেন বলেন, “স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারধরের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”