“ছুটিতে থাকারা কী করছেন সেটা জানা নেই। যারা গেছেন তাদের জিজ্ঞাসা করেন কেন তারা এটি করেছেন।”
Published : 07 Jan 2024, 01:03 PM
সিলেট নগরীর একটি ভোটকেন্দ্রে ভোটার নন এমন কিছু নারীকে একসঙ্গে প্রবেশ করে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে কিছুক্ষণ পর আবার চলে যেতে দেখা গেছে।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর দুর্গাকুমার পাঠশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে বলে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান।
তারা বলেন, সকালে ঠান্ডার কারণে এমনিতেই কেন্দ্রে ভোটার কম ছিল। বিশেষ কোনো লাইন ছিল না। কিন্তু সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ করে একসঙ্গে দেড় শতাধিক নারী ভোটকেন্দ্রটিতে প্রবেশ করেন। তারা কয়েকটি সারিতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যান।
তাদের অধিকাংশের মুখেই মাস্ক ছিল। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ওই নারীরা কেন্দ্রে এভাবে লাইনে অবস্থান করেন। পরে ভোট না দিয়েই তারা চলে যান।
সেখানে ভোট দিতে আসা এক নারী (৩৫) বলছিলেন, “প্রথমে তাদেরকে সবাই ভোটার মনে করেছিলেন। কিন্তু কেউ বুথে না প্রবেশ করায় মনে হয়, তারা এমনিতেই এসেছিলেন।
“নারীরা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স। তারা কেউই এ কেন্দ্রের ভোটার নন”, বলেন ওই নারী।
সেখানে থাকা আরেকজন ভোটার বলেন, “যেহেতু অনেকেই হাসপাতালের নার্স ফলে আমরা তাদের চিনি। শহরের পরিচিত নার্সদের একজন নেতা তাদের লাইনে দাঁড় করিয়ে দেন।”
দুর্গাকুমার পাঠশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার সিলেট-১ (নগর ও সদর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এই সময়ে কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “হাসপাতালে যাদের ডিউটি রয়েছে তারা ডিউটি করছেন। আর আজ যাদের ডিউটি নেই তারা কোথায় যাবেন না যাবেন সেটা তাদের ব্যাপার।
“ছুটিতে থাকারা কী করছেন সেটা জানা নেই। যারা গেছেন তাদের জিজ্ঞাসা করেন কেন তারা এটি করেছেন।”
দুর্গাকুমার পাঠশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মৃন্ময় দাশ ঝুটন সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে মোট ভোটার ২ হাজার ৯৯৩ জন। সকাল ৯টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রের সাতটি বুথে ভোট পড়েছে ৪০টি। প্রতিটি বুথে নৌকার এজেন্ট থাকলেও অন্য প্রার্থীর কোনো এজেন্ট ছিল না।”
ভোটার নন এমন ব্যক্তিদের কেন্দ্রে ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়ে মৃন্ময় দাশ বলেন, “কেন্দ্রের সামনে কারা দাঁড়িয়েছেন, তা জানি না। তবে ভোটার ছাড়া কাউকেই ভোট দিতে দেওয়ার সুযোগ নেই। এমন কোনো ব্যক্তি ভোট দিতে এলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”