আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ’ করে বলে অভিযোগ করেন প্রক্টর অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম।
Published : 11 Feb 2024, 11:43 PM
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভের মধ্যে ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ করায়’ প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগ করেছে।
শুক্রবারের ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ও যৌন নিপীড়নে জড়িত ব্যক্তির বিচারসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছে।
এর ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুরে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন ময়মনসিংহে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পশুপালন অনুষদের গেইট থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আসেন। পরে সেখানে তারা তালা দেন। এ সময় শিক্ষক ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে চার দফা দাবি তুলে ধরেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য এমদাদুল হক চৌধুরীর সঙ্গে তর্কে জড়ান। পরে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে তালা খুলে দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল- বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট রাস্তা ব্যতীত অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল নিষিদ্ধ করা, এসব বাহনের নির্ধারিত কোড ও চালকদের নির্দিষ্ট পোশাকের ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের খামারের রাস্তাগুলিতে অবিলম্বে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং শিক্ষার্থী শ্লীলতাহানির ঘটনায় অবিলম্বে বিচার করা।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল পশুপুষ্টি মাঠ গবেষণাগার সংলগ্ন রাস্তায় অটোরিকশা চালকের মাধ্যমে যৌন নিপীড়নের শিকার হন পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী।
এ ঘটনায় চার দফা দাবিতে আন্দোলন চলাকালে রোববার শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ’ করে বলে অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “যেখানে শিক্ষকদের সম্মান নেই, সেখানে কাজ করা অসম্ভব। আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করে গালিগালাজ করেছে। তাই আমরা (প্রক্টর এবং সহকারী প্রক্টর) দায়িত্ব থেকে একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।”
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, “আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক। তাই অবিলম্বে দাবি পূরণে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মের রাস্তাগুলিতে আগামীকাল থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হবে এবং শ্লীলতাহানির ঘটনায় উপযুক্ত বিচারের জন্য জেলা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ সময় প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, “প্রক্টর এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটু সমস্যা হয়েছিল। তা সমাধান করা হচ্ছে। আশা করছি, তারা দ্রুত কর্মস্থলে ফিরে আসবেন।”