শিক্ষক দম্পতি চাকরিতে ফিরলেন ২০ বছর পর

বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে দেড় যুগের বেশি সময় তারা চাকরির বাইরে ছিলেন।

পিরোজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2022, 05:53 PM
Updated : 26 Sept 2022, 05:53 PM

ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে চাকরির বাইরে থাকা পিরোজপুরের এক শিক্ষক দম্পতি ২০ বছরের আইনি লড়াই শেষে পদে ফিরেছেন।  

বৃহস্পতিবার তারা কাজে যোগ দেন বলে খাতুন্নেছা স্মৃতি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. মজিবুর রহমান আকন জানান।

এরা হলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাইয়েদুর রহমান ও তার স্ত্রী একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাসুমা আক্তার।

বর্তমান বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় মিলনায়তনে ওই শিক্ষক দম্পতিকে ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেন।

পরে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. মজিবুর রহমান আকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খান মো. রুস্তুম আলী, মজিদা বেগম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য মো. মহসীন মিয়া শাহিন, স্বপদে ফেরা প্রধান শিক্ষক মো. সাইয়েদুর রহমান বক্তব্য দেন।

মজিবুর রহমান আকন বলেন, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি নাসরীন মল্লিকের বাসায় বিদ্যালয়ের আয়া ডালিম বেগম কাজ না করায় এবং পিয়ন হরলাল চন্দ্র রায় নোটিশ বোর্ডে নোটিশ টাঙানোর জন্য তাদের বেতন ভাতা আটকে দেন।

“ওই সময় প্রধান শিক্ষক মো. সাইয়েদুর রহমান সভাপতির এমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এত বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে দ্বন্দ্ব হয়।”

তিনি জানান, এ নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রী একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাসুমা আক্তারের বিরুদ্ধে ২০০২ সালের ২০ মার্চ পিরোজপুর সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলা উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে খারিজ হয়। পরবর্তীতে সভাপতি ওই শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করতে থাকেন। এতে তাদের বেতন-ভাতাদি বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, মামলা গড়ায় হাই কোর্ট পর্যন্ত। গত ৪ অগাস্ট হাই কোর্ট ওই মামলা খারিজ করে সাইয়েদুর রহমান ও মাসুমা আক্তারকে স্বপদে বহালে রায় দেয়।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক মো. সাইয়েদুর রহমান বলেন, “সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমাকে ও আমার স্ত্রীকে বরখাস্ত করেন। এ ছাড়া আমাদের বিরুদ্ধে একর পর এক মামলা দিয়ে চরম হয়রানি করেন।”

বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি নাসরীন মল্লিক দেশের বাইরে থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।