পর্যায়ক্রমে শহরের সব পর্যটন পয়েন্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
Published : 30 Nov 2023, 09:40 AM
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে শহরের সব পর্যটন পয়েন্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আবু কালাম সিদ্দিক।
তিনি বলেন, “বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার হবে দেশি-বিদেশি পর্যটকের জন্য শতভাগ নিরাপদ একটি অঞ্চল। এ জেলার সম্ভাবনাময় সব পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নানাভাবে কাজ চলছে।”
“পর্যটন জাতীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে দেশীয় পর্যটকের সঙ্গে বিদেশি পর্যটকের আগমন বাড়ানো গেলে জাতীয় অর্থনীতিতে রাজস্ব বাড়বে। এজন্য একটি নিরাপদ পর্যটন জোন করতে যা যা করা প্রয়োজন তাই করবে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
পর্যটকের নিরাপত্তায় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “ব্যবসায়ীরা আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করলে নিরাপদ পর্যটন অঞ্চল তৈরি সম্ভব। এজন্য সরকারের আইন মেনে পর্যটকদের কক্ষ ভাড়া প্রদান, খাবার বিক্রি, সুন্দর ব্যবহার জরুরি। কেউ আইন অমান্য করলে তা মেনে নেওয়া হবে না।”
এ সময় ব্যবসায়ী নেতারা পর্যটন খাতে নানা জটিলতা, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। ডিআইজি আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা, কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাব ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার, সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ।
মতবিনিময় শেষে সমুদ্র সৈকতে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিদর্শন করেন ডিআইজি আবু কালাম সিদ্দিক।
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেসবুক লিংক]