অবসরের পর ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলীয় নির্বাচন কমিটির কো-চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসেন তিনি।
Published : 14 Jan 2023, 09:25 PM
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রীপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার।
তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে আমাকে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন, আমিও সেই মোতাবেক কাজ শুরু করেছি। আশা করছি আগামী নির্বাচনেও জনগণ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে আবারও নৌকাকে বিজয়ী করবে। ”
শনিবার বিকালে সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন চত্বরের মুক্তির সোপানে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে তাকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কবির বিন আনোয়ার বলেন, “সরকারি চাকরি থেকে বিদায় নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দল গঠনের জন্য আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সে জন্য আমি তাঁর কাছে চির কৃতজ্ঞ।”
সংবর্ধনা দেওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং সিরাজগঞ্জবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “এই বিরল সংর্বধনা আমার জীবনে একটি সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। সারা জীবন আমি এটি শ্রদ্ধাভরে স্মরণে রাখবো। ”
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসানের সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা প্রমুখ।
উপজেলা, পৌর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধি মিছিল নিয়ে সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন।
সভার শুরুতে দলের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনসাধারণের পক্ষ থেকে কবির বিন আনোয়ারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এ ছাড়াও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে ঘিরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে মোড়ে অর্ধশতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়।
কবির বিন আনোয়ার সিরাজগঞ্জের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৬৪ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন রতু রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৭ বছর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। মা প্রয়াত সৈয়দা ইসাবেলা একুশে পদকপ্রাপ্ত একজন লেখিকা।
কবির বিন আনোয়ার নিজেও ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। সর্বশেষ গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে যোগ দেন এবং চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি অবসরগ্রহণ করেন।
অবসরের পর গত ৫ জানুয়ারি তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলীয় নির্বাচন কমিটির কো-চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসেন।