বান্দরবানের রুমা উপজেলায় শিক্ষক নুশৈ মং মারমা হত্যা মামলায় এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু হানিফ এ রায় দেন।
দণ্ডিত হ্লাসিং মং মারমা রুমার ১ নম্বর পাইন্দু ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড পাইন্দু উজানি পাড়ার ক্যঅংপ্রু মারমার ছেলে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নিহত নুশৈ মং মারমা স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। বিভিন্ন সময় স্থানীয় এক পাড়া কারবারি ও তার ছেলেদের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করায় নুশৈ মং মারমার উপর তারা ক্ষিপ্ত ছিলেন।
২০১৭ সালের ২৬ জুলাই সকাল ১০টায় নুশৈমং মারমা পার্শ্ববর্তী জুম ক্ষেতে যান। কিন্তু বিকালেও ঘরে ফিরে না আসায় নুশৈ মং মারমার স্ত্রী ছুমে মারমা তার ছোট ভাই মংশৈ মারমাকে নিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় জুম ক্ষেতে গেলে রাস্তার ঢালুতে নুশৈ মং মারমার মৃতদেহ দেখতে পান।
“পরে তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে যান। তারা নিহতের কানের নিচে ও গলায় গোলাকার ক্ষত চিহ্ন দেখতে পান এবং পুলিশকে খবর দেন।”
ওই ঘটনায় নিহতের বড়ভাই মংরে অং মারমা বাদী হয়ে রুমা থানায় হত্যা মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ ইকবাল করিম জানান, ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই নুশৈ মং মারমাকে পূর্ব শত্রুতার জেরে দন্ডিত হ্লাসিং মং মারমা নিজ হাতে তৈরি দেশিয় গাদা বন্দুক দিয়ে গুলি করেন। বাম কানের নিচে এবং গলায় তিন বার গুলি করে হত্যা করেন নুশৈ মং মারমাকে।
পিপি করিম জানান, দোষ প্রমাণিত হওয়ায় হ্লাসিংমং মারমাকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, যা অনাদায়ে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।