ময়মনসিংহে আট বছর আগে এক ব্যক্তিকে শাবল দিয়ে আঘাত করে হত্যা মামলায় তার প্রতিবেশীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুদিপ্তা সরকার আসামির উপস্থিতিতে আট বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত মো. শামসুদ্দিন (৫৫) মুক্তাগাছা উপজেলার তারাঢি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের জয়নুদ্দিনের ছেলে।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সঞ্জিব সরকার জানান, সাজার পাশাপাশি বিচারক শামসুদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন; অনাদায়ে তাকে ভোগ করতে হবে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড।
মামলার বরাতে সঞ্জিব বলেন, ২০১৫ সালের ১০ প্রতিবেশী মো. রফিজ উদ্দিন শামসুদ্দিনের বাড়ির সামনে বসে বাঁশের চাটাই বুনছিলেন। এ সময় রফিজের স্ত্রী তাকে গুড়ের খুরমা খেতে দেন। খুরমা খেয়ে রফিজের পিপাসা লাগলে তিনি শামসুদ্দিনের রান্না ঘর থেকে এক গ্লাস পানি পান করেন।
রান্না ঘরে ঢুকে পানি পান করায় শামসুদ্দিন রেগে যান এবং এ নিয়ে রফিজের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে শামসুদ্দিন লোহার শাবল দিয়ে রফিজের মাথায় বেশ কয়েকটি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে শামসুদ্দিন শাবলসহ পালানোর চেষ্টা করলে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ফকিরগঞ্জ বাজারে মোস্তফা নামে একজন তাকে ধরে ফেলে। এ সময় শামসুদ্দিন মোস্তফাকেও শাবল দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা শামসুদ্দিনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এই ঘটনার পর শামসুদ্দিনকে আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে শামসুদ্দিন কারাগারেই ছিলেন।