“আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী হিরো আলমকে কাছে পেয়ে জাস্ট মজা করছিল। এ সময় হঠাৎ তিনি আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও হন।”
Published : 23 Dec 2023, 10:21 PM
বগুড়া-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম তার নির্বাচনি প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের এরুলিয়ায় বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে বলেন, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার ১ নম্বর বুড়ইল ইউনিয়নের মুরাদপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
তবে নৌকা প্রতীকের লোকজন হিরো আলমের সমর্থকদের বিরুদ্ধেও হামলার অভিযোগ করেছেন।
এখানে ১৪ দলীয় জোটের হয়ে জাসদের রেজাউল করিম তানসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন।
স্থানীয়রা জানান, হিরো আলম ও ডাব প্রতীকের সমর্থকরা মুরাদপুর বাজারে ভোটের প্রচারে গেলে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা তাতে বাধা দেয়। এ নিয়ে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে বাক-বিতণ্ডা হয়। পরে একপর্যায়ে নৌকার ৫-৬ সমর্থক লাঠি নিয়ে তাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়।
সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, “এ সময় ভিডিও ধারণ করা আমার কর্মীর কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে নিরাপত্তা চেয়ে তারপর প্রচারে এসেছি। পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
“হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা না হলে বুঝে নিতে হবে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। আমার ওপর বড় ধরনের হামলা হতে পারে আশঙ্কা করছি। কয়েকদিন আগে কাহালুতে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে। আজ আমার ওপর হামলা। তবে কি নৌকা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়? এরা ভোটের দিনেও ঝামেলা করবে। বুঝাই যাচ্ছে, এ আসনে নির্বাচন ঝুঁকিপূর্ণ। এবার ভোট করা আমার জন্য কঠিন হতে পারে।
ডাব প্রতীকের প্রার্থী বলেন, “রাতের মধ্যেই তাদের গ্রেপ্তার না করলে ডিসি-এসপি এবং নির্বাচন কমিশনকে জানাব। এখনই যেমন করছে তারা ভোটের দিন কেন্দ্রও দখল করবে। যদি এমন হয়, তাহলে নির্বাচন করে লাভ কী। নির্বাচন কমিশন কী করছে? আগেরবারও ভোট কারচুপি করেছিলেন রেজাউল করিম তানসেন।”
হিরো আলমের অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের ওপর হামলার পাল্টা অভিযোগ করেছেন বুড়ইল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন।
তিনি বলেন, “আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী হিরো আলমকে কাছে পেয়ে জাস্ট মজা করছিল। এ সময় হঠাৎ তিনি আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও হন। তবে আমি সেখানে গিয়ে প্রশাসনের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি।”
নন্দীগ্রাম থানার ওসি আজমগীর হোসাইন আজম বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশের দল নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, প্রার্থীর ওপর হামলার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। প্রচারে বাধা বা প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন হিরো আলম। সেবার মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে রেজাউল করিম তানসেনের কাছে হেরে যান। এবারও তিনি সেখানে প্রার্থী হয়েছেন।