খতনা করাতে গিয়ে শিশুর লিঙ্গ কেটে ফেলল হাজাম

শিশুটিকে নোয়াখালীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Feb 2024, 06:14 PM
Updated : 29 Feb 2024, 06:14 PM

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় বাড়িতে খতনার সময় এক শিশুর লিঙ্গ কেটে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে হাজামের বিরুদ্ধে। তাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার নদনা ইউনিয়নের একটি গ্রামের এ ঘটনায় আহত শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানভীর হায়দার ইমন।

আটক মামুন মিয়া (৩৫) সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বারাহিপুর গ্রামের মো. হানিফের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিকালে একটি গ্রামে ৭ বছর বয়সি এক শিশুর খতনা করতে যান মামুন মিয়া। এ সময় ক্ষুর দিয়ে চামড়া কাটতে গিয়ে শিশুটির জননাঙ্গের সামনের অংশ কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন তিনি। এতে শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

চিকিৎসক তানভীর হায়দার ইমন বলেন, “শিশুটির লিঙ্গের সামনের বেশিরভাগ অংশ কেটে ফেলেছেন হাজাম। হাসপাতালে আনার পর শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কাটা অংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে স্বজনদের বুঝিয়ে দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।”

নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার জানান, ঘটনাটি শোনার পর তিনি নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ অন্য চিকিৎকদের শিশুটির চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন।

শিশুটির জননাঙ্গের কাটা অংশ নোয়াখালীতে পুনঃস্থাপনের ভালো কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

সোনাইমুড়ি থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন জানান, হাজাম মামুনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনগণ। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৭ বছরের এক শিশুর খতনার সময় অতিরিক্ত কেটে ফেলেন চিকিৎসা সহকারী (ম্যাটস থেকে পাস করে হাসপাতালে ইন্টার্ন করতে আসা শিক্ষার্থী)। পরে শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে শিশুটি চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িত চিকিৎসা সহকারী সৌরভ ভৌমিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিষিদ্ধ এবং দায়িত্বরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার বিজয় কুমার দেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়।

এ ছাড়া ঘটনাটি তদন্তে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. যোবায়েরকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

আরও পড়ুন:

Also Read: খতনার সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, অভিভাবকের ক্ষোভ

Also Read: খতনায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ: শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেন্টমার্টিনে বদলি