দগ্ধদের মধ্যে পাঁচজনের শরীরের প্রায় ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
Published : 04 May 2023, 11:41 PM
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় লোহা গলানোর একটি কারখানায় চুল্লির বিস্ফোরণে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে; আরও ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ভুলতা এলাকায় রহিমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেডের লোহা গলানোর কারখানায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ভুলতা ফাঁড়ির পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান৷
নিহত শ্রমিকের নাম শংকর (৪০)। দগ্ধরা হলেন- জুয়েল (২৫), রাব্বি (৩৫), ইব্রাহিম (৩৫), ইলিয়াস (৩৫), লিয়ন (২০) ও আলমগীর (৩৩)৷ তারা প্রত্যেকেই ওই কারখানার শ্রমিক৷
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, “দগ্ধরা রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
“দগ্ধদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক৷ তাদের সবার শরীরের প্রায় ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে৷ এ ছাড়া ইব্রাহিমের শরীরের ২৮ শতাংশ পুড়ে গেছে৷”
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “লোহা গলানোর কারখানাটি এখনও নির্মাণাধীন রয়েছে৷ পরীক্ষামূলকভাবে লোহা গলানোর কাজ চলছিল৷ বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে লোহা গলানোর চুল্লিতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়৷
“বিস্ফোরণের পর গলিত উত্তপ্ত লোহা পড়ে সাত শ্রমিক গুরুতর দগ্ধ হন৷ তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে৷ লোহা গলানোর কারখানায় কাজ করার সময় শ্রমিকরা সেফটি জ্যাকেট পরিহিত ছিল কি না এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷”
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তবে মালিকপক্ষের দাবি, সেফটি জ্যাকেটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, কিন্তু অনেক সময় শ্রমিকরা সেটা না পরে কাজ করেন। ব্যাপারটি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
ওই কারখানার সুপারভাইজার শফিকুল ইসলাম বলেন, “ছয় মাস আগে লোহা উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে৷ কারখানাটিতে সবধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে৷ শ্রমিকরাও সেফটি জ্যাকেট পরেছিলেন৷”
‘সেইফটি জ্যাকেট’ পরে থাকার পরও এ পরিমাণ দগ্ধ হবার সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিস্ফোরিত অতিরিক্ত গরম লোহার কারণে এমনটা হয়েছে৷”