‘এমপির ভাতিজা’ পরিচয়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

পুলিশ থিম ওমর প্লাজার কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামান পাপ্পুকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2023, 05:37 PM
Updated : 28 Feb 2023, 05:37 PM

রাজশাহীর এক সংসদ সদস্যের ভাতিজা পরিচয় দিয়ে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে। 

মঙ্গলবার বিকালে ৩০ থেকে ৪০ জন যুবক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা রাজশাহী নগরীর বিসিক এলাকার ম্যাচ ফ্যাক্টারির সামনে পাপ্পু নামের ওই যুবকের বাড়ি ঘেরাও করে। 

খবর পেয়ে সন্ধ্যায় পুলিশ গিয়ে থিম ওমর প্লাজার কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামান পাপ্পুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। 

নাহিদুজ্জামান পাপ্পু শপিংমল থিম ওমর প্লাজার প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তার বাড়ি নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায়। তবে তিনি নগরীর সুপুরা ম্যাচ ফ্যাক্টারির সামনে ফ্লাট কিনে সেখানে বসবাস করেন।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে জনরোষ থেকে পাপ্পুকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।” 

ভুক্তভোগীরা জানান, পাপ্পু নিজেকে স্থানীয় এক সংসদ সদস্যের ভাতিজা পরিচয় দিতেন। তিনি এমপিকে দিয়ে চাকরি নিয়ে দেবেন এমন আশ্বাসও দেন। চাকরি নিয়ে দেওয়ার নাম করে ২৫ থেকে ৩০ জনের কাছ থেকে তিনি প্রায় তিন কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু কারও চাকরি হয়নি। বরং পাপ্পুর কাছে টাকা ফেতর চাইলে উল্টা চাঁদাবাজির মামলার দিয়ে পুলিশে দেওয়ার হুমকি-ধামকি দিত।”

তারা আরও জানান, টাকার জন্য চাপ দিয়ে অনেকেই চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। ভুয়া ওই নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিরস্থলে যোগদান করতে গিয়ে অনেকেই হয়রানির শিকার হয়েছেন। 

পুলিশের এসআই পদে চাকরি নিয়ে দেয়ার নামে ফায়সাল হোসেন নামের এক যুবকের কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা নেন পাপ্পু। এই টাকা নিয়েছেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর নামে। এমপি ফারুক চৌধুরী তাকে চাকরি নিয়ে দিবে বলে তার কাছ থেকে এ টাকা নেওয়া হয়। 

ফায়সাল জানান, আমার সাথে চুক্তি হয় ২০ লাখ টাকায়। কিন্তু বছর গড়ালেও পুলিশের চাকরি পায়নি। টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি এমপির ভয় দেখান। হুমকি ধামকি দেন। 

“আবার বলেন, এমপি টাকা নিয়েছেন তার কাছে গিয়ে টাকা ফেরত নেন।” 

স্থানীয় আলমগীর হোসেন জানান, “এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর ভাতিজা পরিচয় দিয়ে পাপ্পু আমাকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলেন। এ জন্য আমার কাছ থেকে তিনি ২ লাখ টাকা নেয়। চাকরি পাওয়ার পর আরও তিন লাখ টাকা দেয়ার কথা ছিল।”